Latest Post

 



অভাবে ৭ মাসের শিশু কন্যাকে বাজারে বিক্রি করে দিলেন বাবা


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সাত মাস আগে সাম্মী নামের শিশুটি জন্ম নেয় এক গরীর বাবার ঘরে।  শাম্মীসহ সে পরিবারে সদস্য ৬ জন।  ছয় সদস্যের পরিবারে সবসময়ই লেগে থাকে অভাব অনটন। আর  অভাবের তাড়নাই ৭ মাস বয়সী শিশু কন্যা সাম্মীকে স্হানীয় বাজারে দত্তক অথবা বিক্রি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তখন এলাকাবাসীর বিক্রি না করার পরামর্শে শিশু সাম্মীকে বাড়ি ফেরত নিয়ে আসেন বাবা মতিউর রহমান মতি।


মতিউর রহমান (৪৬) উপজেলার ৪নং বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের জিয়াবাড়ি দক্ষিণ দুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি একজন দিনমজুর। সারাদিন মাঠে কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনমতে সংসার চলে।  তিন মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও ৭ মাস বয়সী শিশুকন্যা শাম্মীর খরচ জোগাতে পারছিলেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়ে গত রবিবার (২৪ জুলাই)  তার ৭ মাসের শিশু কন্যাকে বিক্রি ও দত্তক দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যান স্থানীয় এক বাজারে।


পরে স্থানীয়রা তাকে ও তার শিশু কন্যাকে বাড়িতে ফেরত আনেন। বড় মেয়ে পারুল (১৪) স্থানীয় এক স্কুলে নবম শ্রেনী, মেজো মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৯) ৩য় শ্রেনী, সেজো মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (৬) বাড়ির পাশে একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করেন।


স্থানীয়রা জানান, মতিউর খুবই হত-দরিদ্র। সন্তানদের ঠিকমতো খাবার ও ভরণপোষণ কাপড়চোপড় কিনে দিতে পারে না। কোন কোন একবেলা খায় তো আরেক বেলা না খেয়ে থাকে। মা-বাবা কখনোই চায় না তাদের সন্তানকে বিক্রি বা দত্তক দিতে। কিন্তু অভাবের সংসার তাদের বাধ্য করেছে। 


সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ২৬ বছর আগে মতিউর রহমানের সঙ্গে নাজমা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের সংসারে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। এভাবে ছেলে সন্তানের আশায় তাদের সংসারে একে একে জন্ম নেয় ৪ কন্যা সন্তান। এখন সেই চার কন্যা সন্তানসহ মোট ছয়-জনের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে ৭ মাসের কন্যা সন্তান সাম্মীকে বিক্রয় ও দত্তক দেওয়ার জন্য বাজারে নিয়ে গেছিলেন তিনি। পরে এলাকাবাসী শিশুকন্যা সহ মতিউর রহমানকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন।


প্রতিবেশী রসনা বেগম, রমজান আলী, মুনসুর, নাজমুল, জাহিদ সহ আরো অনেকেই বলেন, মতিউর চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন পার করেন।  সারাদিন কাজ করে যা পায় তা দিয়ে সংসার চলে না। তার কোন জমি-জায়গা নাই। অনেক সময় তারা না খেয়ে থাকেন। সরকারিভাবে যদি সে সহযোগিতা পায় তাহলে চার মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে পারবে নয়তো তার সন্তানকে দত্তক দিতে বাধ্য হবেন।


বাবা মতিউর রহমান (মতি) বলেন, আমার কোন ছেলে নাই। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমি। দিনমজুরি দিয়ে যা আয় হয় সেটা দিয়ে তিন বেলার খাবারই জুটেনা। তাই আমার ছোট মেয়ে সাম্মীকে বিক্রয় ও দত্তক দিতে বাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু এলাকার অনেকে তা করতে না দিয়ে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সরকারীভাবে যদি আমাকে সহযোগিতা করা হয় তাহলে আমি আমার চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যেতে পারবো।


মা নাজমা বেগম (৩৯) বলেন, আমার স্বামীর তেমন আয় রোজগার না থাকায় ঠিকমত সংসার চালাতে পারে না। একটা মেয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ছে। কিছুদিন পর তাকে বিয়ে দিতে হবে। আমাদের কোন সম্পদ নেই। যে সেগুলো বিক্রি করে মেয়েদের পড়াশোনা করিয়ে বিয়ে দিব। 

তাই আমার স্বামী আমার সব থেকে ছোট

৭ মাসের কন্যা সন্তানকে মানুষের কাছে বিক্রি  দেয়ার জন্য  বাজারে নিয়ে গিয়েছিল।


তবে মতিউরকে ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জনান ৪নং বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মতি গরিব মানুষ। তার কোন জমি-জায়গা নাই। দিন মজুরি দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সন্তানদের মুখে খাবার দেন। অভাব অনটনের জন্য তার ৭ মাসের কন্যাকে বাজারে বিক্রি করতে যান। এটা খুবই দুঃখজনক। তবে মতিকে কিভাবে সাহায্য সহোযোগীতা করা যায় তার চেষ্টা আমি করব।


এবিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহা. যোবায়ের হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই দরিদ্র পিতা আমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনার জন্য সহযোগিতার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 


আরো পড়ুন:



 


প্রথমবার ইভিএমে ভোট, সংশয়ে রাণীশংকৈলের তিন ইউপি'র ভোটাররা ! 


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও, বাচোর ও নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন হবে ২৭ জুলাই। এখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এভাবে ভোট দেওয়া নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ইউনিয়নে মোট ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর সাধারণ সদস্য পদে ৮৭ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৫ প্রার্থী আছেন। এ তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার ৬১ হাজার ১৪৮ জন।


নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধ্যারই গ্রামের নির্মাণ-মিস্ত্রি নিরব হাসান রাজু, বনগাঁও এলাকার কৃষক আমিন, গাজীরহাটের রাজু ইসলামসহ অনেকে বলেন, জীবনে প্রথমবার ইভিএমে ভোট দেবেন। এ নিয়ে তাঁদের বেশ কৌতূহল রয়েছে। তবে তাঁরা এ মেশিনের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কি না, সঠিকভাবে মেশিন ব্যবহার করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের।


একইভাবে হোসেনগাঁও ইউনিয়নের উত্তরগাঁও গ্রামের দুলাল, কলিগাঁও এলাকার রুহুল আমিন ও হঠাৎ বস্তির ছাত্তার বলেন, এমন মফস্বল এলাকায় ইভিএম দিয়ে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। ভোটের কমপক্ষে এক মাস আগে থেকে ইভিএমের ব্যবহার সমন্ধে ধারণা দেওয়ার জন্য পাড়ামহল্লায় প্রচার চালানো উচিত ছিল। হঠাৎ একটি নতুন মেশিনের মাধ্যমে ভোট দেওয়াটা একটু ঝামেলার। তা ছাড়া কী করে কাকে ভোট দেবেন তা তো আর একদিনে বুঝবেন না।


বাঁচোর ইউনিয়নের আমজুয়ান এলাকার রুহুল কুদ্দুস ও মীরডাঙ্গীর উজ্জ্বল বলেন, তাঁরা শুনেছেন ইভিএমে এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গায় চলে যায়। যদি তাই সত্যি হয় তাহলে তো ভোট দেওয়া আর না দেওয়া সমান। পছন্দের প্রার্থীকে যদি ভোট দিতে না পারেন তাহলে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।


এ বিষয়ে হোসেনগাঁওয়ের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দীন (মোটরসাইকেল প্রতীক) বলেন, ‘সাধারণ ভোটাররা জীবনের প্রথম ইভিএমে ভোট দেবেন, তা নিয়ে একটু সংশয় রয়েছে।’


একই ইউনিয়নের আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক) এম জি রব্বানী বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দেবেন ঘোড়ায়, ভোট যাবে নৌকায়, এমন প্রচার চলছে ইউনিয়নজুড়ে।’


নন্দুয়ারের চেয়ারম্যান প্রার্থী জমিরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল প্রতীক) বলেন, ‘ভোট কী হবে তা বলতে পারছি না। এমনিতে ইভিএম, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁদের নির্বাচনী বিভিন্ন সভায় ভোটারদের নৌকা ছাড়া অন্য কোথাও ভোট দিতে নিষেধ করছেন।’


তবে তিন ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিউর রহমান, আব্দুল বারি ও জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ভোট অবশ্যই সুষ্ঠু হবে এবং ইভিএমে কোনোভাবেই কারচুপি করার সুযোগ নেই। আসলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিশ্চিত পরাজিত হবেন বলেই ইভিএম নিয়ে অপপ্রচার করছেন।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম বলেন, ‘ইভিএমে ভোট অবশ্যই ভালো হবে। তা ছাড়া ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সমন্ধে ধারণা দিতে ইউনিয়নগুলোতে ইভিএমের প্রদর্শনী চলছে।’


উপজেলার হোসেনগাঁও, বাঁচোর ও নন্দুয়ার ইউপিতে নির্বাচন হবে ২৭ জুলাই। এই তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার আছেন ৬১ হাজার ১৪৮ জন।


আরো পড়ুন:





ঝিনাইগাতীর গজনী পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নেই,  


ঝিনাইগাতী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশের প্রবেশ পথে  টোল আদায় ঘর নেই । ফলে অবকাশ কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানান জটিলতার পাশাপাশি   চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে অবকাশ কেন্দ্রের ইজারাদারকে। জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত   প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের  লীলাভূমি খনিজ  ও বনজ সম্পদে ভরপুর  ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়। 

এ গারো পাহাড়ের সৌন্দর্যকে   ঘিরে  ১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রাকৃতিক প্রেমি জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদার প্রায় ৫০ একর পাহাড়ি জমির উপর  গড়ে তুলেন একটি পিকনিক স্পর্ট। মৌজার নামানুসারে এর নামকরন করা হয়  গজনী অবকাশ কেন্দ্র। কেন্দ্রটি গড়ে তোলার পর থেকে  দর্শনার্থীদের ঢলনামে এ অবকাশ কেন্দ্রে। 

সারাদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখরিত হয়ে উঠে গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্রটি।  

 আগত দর্শনার্থীদের কাছ  টোল আদায়ের লক্ষে,উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে রাস্তার পাশে একটি টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা হয়। এ ঘরে বসে  গত প্রায় ২ যুগ ধরে ভ্রমনপিপাষুদের কাছ থেকে টোল আদায় করে আসছিলো উপজেলা প্রশাসন। জানা গেছে, চার দিক থেকে রাস্তা- ঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সামনের টোল আদায় ঘরটি অকার্যকর হয়ে পরে। এছাড়া গত কয়েকবছর ধরে  অবকাশ কেন্দ্রটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে  ইজারা দেয়া হয়েছে। 

জানা গেছে, এ অবকাশ কেন্দ্র থেকে প্রতিবছর সরকারের ঘরে আসছে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব। 

কিন্তু অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ প্রথে আজো নির্মিত হয়নি টোল আদায় ঘর। ফলে ইজারাদারের লোকদের টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানা জটলা, বিড়ম্বনা ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। গজনী অবকাশ কেন্দ্রের  ইজারাদার মোঃ ফরিদ আহম্মেদ বলেন,গজনী অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পরেছে। অন্যথায়  লোকসানে পড়তে হবে তাদের। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 


আরো পড়ুন:


 



মাংকিপক্স ভাইরাসের প্রকোপের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা


ব্রাজিলের থিয়াগো আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন। থাকেন সাও পাওলো শহরে। কিছু উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়ার পর জানতে পারলেন যে তিনিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যানের অংশ হয়ে গেছেন।


তার শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা দিয়েছিল সেগুলো হচ্ছে: প্রচণ্ড জ্বর, ক্লান্তি, কাঁপুনি এবং সারা শরীরে ঘা।


কিন্তু যে সমস্যাটি তার কাছে তীব্র হয়ে ওঠে ছিল তা হচ্ছে যৌনাঙ্গ ও তার আশেপাশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং জ্বালাপোড়া করা। তিনি বলছেন তার যৌনাঙ্গের ত্বকে কমপক্ষে ন'টি জায়গায় ঘা তৈরি হয়েছিল।

এর ফলে ব্যথা করতো, এবং প্রচুর চুলকানি হতো," বিবিসি নিউজ ব্রাজিলের কাছে তিনি তার এই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন, "পুরো জায়গাটা ফুলে ওঠেছিল, কখনো কখনো মনে হতো ওখানে আগুন ধরে গেছে।"


যে ভাইরাসের কারণে স্মলপক্স হয়, সেই একই পরিবারের একটি ভাইরাস মাংকিপক্স সংক্রমণের জন্য দায়ী। তবে এটি অতোটা মারাত্মক নয়। আক্রান্ত প্রাণী যেমন বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।


মানুষ থেকে মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ তেমন একটা দেখা যায় না। তবে কেউ যদি আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসেন, তাহলে তার দেহেও এই ভাইরাসটির সংক্রমণ হতে পারে।


ফেটে যাওয়া চামড়া, চোখ এবং মুখের পাশাপাশি এটি শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত যেসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে- যেমন ফুসফুস, শ্বাসনালী, এসবের মধ্য দিয়েও মানুষের দেহে প্রবেশ করে।


কেউ যদি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কাপড়, বিছানা এবং তোয়ালে স্পর্শ করেন তাহলে এসবের মাধ্যমেও রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কিপক্স সম্পর্কে যা জানা যায়

মাংকিপক্স ভাইরাস সাধারণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকাতে, আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে রেইনফরেস্ট এলাকায় দেখা যায়।


এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের দুটি প্রজাতি সম্পর্কে জানা যায়- পশ্চিম আফ্রিকান ও মধ্য আফ্রিকান।


এ-দুটো প্রজাতির মধ্যে মধ্য আফ্রিকান ধরনটি একটু মৃদু যা এখন পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে।


এখন যে আফ্রিকার বাইরেও অস্বাভাবিক হারে প্রচুর সংখ্যক মানুষ মাংকিপক্সে আক্রান্ত হচ্ছে এবং তারা কখনও ওই অঞ্চলে ভ্রমণও করেন নি, সেকারণে ধারণা করা হচ্ছে যে ভাইরাসটি এখন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।


আরো পড়ুন:



 


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে জমিসহ ঘর পেলেন ১৫ ভূমিহীন পরিবার 


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১৫ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার পেলেন জমির দলিল ও ঘরের চাবি। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে উপকার ভোগিদের মাঝে জমির দলিল ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। 


এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ হল রুম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ এর  সভাপতিত্বে  অন্যান্যদের মধ্যে  উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার,


প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তি যোদ্ধা শামছুল আলম, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের  অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,  বিভিন্ন দপ্তরের  কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,  সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে অতিথিগণ ১৫ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য যে, ঝিনাইগাতী উপজেলা ১ম ধাপে ৬৫টি, ২য় ধাপে ২৫টি, ৩য় ধাপের ১ম স্তরে ১৫টি


গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর প্রদান  করা হয়। ৩য় ধাপের ২য় স্তরে বৃহস্পতিবার ১৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে এ ঘর প্রদান করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার ৭ ইউনিয়ন থেকে বহু সংখ্যক আবেদনের মধ্যে থেকে ১ শত ২১ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত সাপেক্ষে ৯৬টি পরিবারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন হিসেবে চুড়ান্ত করা হয়। 


এদের মধ্যে পশ্চিশ বাকাকুড়ায় ১১ টি এবং নলকুড়ায় ৪ টি সহ ১৫ টি পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের দান্যারপাড় ও গৌরীপুর ইউনিয়নের গজারীকুড়া এলাকায় সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ৫৫ টি পবিরারকে পূর্ণবাসিত করা হচ্ছে। বাকি ২৬ টি পরিবারকেও পরবর্তী পর্যায়ে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরো পড়ুন:




রাণীশংকৈলে ৪৮ বস্তা সার জব্দ, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার জরিমানা !


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরে মুক্তা সিনেমা হলের সামনের পাকা রাস্তায় শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত ১২ টার দিকে

অবৈধভাবে বিক্রি করা ৪৮ বস্তা রাসায়নিক টিএসপি ও পটাশ সার জনসাধারন আটক করে। 


৪টি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে ওই সার স্থানীয় ভ্যানচালক মোঃ হানিফা, জবায়দুর রহমান , নূর ইসলাম ও অজয় কুমার উপজেলার রামপুর বেলপুকুরের ক্ষুদ্র সার ব্যবসায়ী জাহিদুরের দোকানে নিয়ে যাচ্ছিল।


তবে উপস্থিত অবস্থায় ক্রেতা জাহিদুরের কাছে সার ক্রয়ের কোনো রশিদ ছিলনা। এসময় উপস্থিত হয়ে স্থানীয় কর্মরত

সাংবাদিকরা এ সারের ছবিসহ তথ্য সংগ্রহ করেন। 


উত্তেজিত জনতা সার আটকের খবর পেয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ সাহা ও উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে সারগুলো উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে ভ্যানচালক সহ আটক কারিদের কাছে তথ্য নেন। পরে পুলিশও সেখানে উপস্থিত হয়।


এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলেই ওই সার জব্দ করে থানায় পাঠিয়ে দেন। ওই সার স্থানীয় সার ডিলার এর মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে জেনে কর্মকর্তারা উক্ত ডিলারের সার গোডাউন ও তার বাড়িতে গিয়ে ঘটনা তদন্ত করেন। এসময় ডিলার কর্মকর্তাদের কাছে ওই সার বিক্রি করেছেন মর্মে স্বীকার করেন।


রাণীশংকৈল উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম বলেন, 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে যথারীতি ওই সারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন,নিয়ম বর্হিভূতভাবে সার মজুদ করা হয়েছে। সেগুলো বাজার সংকট দেখিয়ে গোগনে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। 

জব্দকৃত সার ডিলারের স্বীকারোক্তিমূলে তাকে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, রাণীশংকৈলে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে


আরো পড়ুন:



 



শার্শায় জমিসহ বাসগৃহ পেল ৫৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার


“মুজিববর্ষ” উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের (৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপ) উদ্বোধন উপলক্ষে ৫৫টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর প্রদান করেছেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী একযোগে সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি 


ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করেন।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু।

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে একজনও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার আওতায় দেশজুড়ে আশ্রয়ণের ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের আশ্রয়ণ তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে শার্শা উপজেলায় ৫৫টি পরিবারকে ২ শতাংশ করে খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান, কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন এবং খতিয়ান প্রস্তুুত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপহার হিসেবে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ঘর প্রতি বরাদ্দ দেয়া হয় ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, জেলা পরিষদের সদস্য অধ‍্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ফারজানা ইসলাম, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহমেদ তোতা, বজলুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আশাদুজ্জামান মুকুল ও আব্দুল খালেকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget