Latest Post

 


৯ বছর অপেক্ষার পর হরিপুরে আ.লীগের সম্মেলন, তবুও সংশয় ! 


আজ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সর্বশেষ ২০১৩ সালে সম্মেলন হয়েছিলো। প্রতি তিন বছর পর সম্মেলন করার কথা থাকলেও নানা টানাপোড়েনে গত নয় বছরেও সেই সম্মেলনটি হয়নি।


অবশেষে আজ সোমবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে বহু আকাঙিক্ষত এ সম্মেলনকে ঘিরে প্রার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে  টানটান উত্তেজনা। দলীয় সূত্রে জানা যায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মোট ২৬১ জন কাউন্সিলর থাকবেন। তাদের মাধ্যমিক হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে।


উপজেলা কমিটির সভাপতি পদে তিনজন আর সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা সংখ্যা তিন জন। পদ প্রত্যাশীদের অনুসারী ও শুভাকাঙ্খিরা পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় সরব রয়েছেন।


উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর হাসান মুকুল, সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শামীম ফেরদৌস টগর ও আবুল কাইয়ুমকে নিয়ে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। 


সাধারণ সম্পাদক পদে পদ প্রত্যাশীরা হলেন, উপজেলা আ.লীগের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এস এম আলমগীর, জেলা আ.লীগের সদস্য ও উপজেলা আলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমেদ মানিক, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রিপন।


হরিপুর উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নগেন কুমার পাল এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন, সাবেক মন্ত্রী ও আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঠাকুরগাঁও এক আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।


 সম্মেলনটি উদ্বোধন করবেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি মো: সাদেক কুরাইশী। গেস্ট অব অনার হিসেবে থাকবেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।


বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলাম এমপি, বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাড্‌ভোকেট্‌ সফুরা বেগম রুমি, বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড্‌ভোকেট্‌ হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।


সভাপতি পদ প্রত্যাশী জিয়াউর হাসান মুকুল বলেন, দীর্ঘ দিন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলের যেকোন দুঃসময়ে ছিলাম এবং আমৃত্যু থাকবো। যদি তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মনে করে আমি থাকলে উপজেলা আ.লীগের জন্য মঙ্গলজনক হবে তাহলে আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী আনোয়ারুল ইসলাম রিপন বলেন, তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সাথে আমার সম্পর্কও ভালো। জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদক সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের সাথে সবসময় আমার অবস্থান সু-দৃঢ় ছিলো, আশা করছি কাউন্সিলররা আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবে। 


আরেক সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী এস এম আলমগীর বলেন, আমি সবসময় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজনীতি করেছি। দলের এবং নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে ছিলাম। সরাসরি ভোটে আমি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমেদ মানিক বলেন, আমি দীর্ঘসময় যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি তাই অগ্রাধীকার ভিত্তিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব আমি পাওয়ার কথা। এখন কাউন্সিলররা আশা করি আমাকে সেভাবে মুল্যায়ন করবে।


আ.লীগের নেতা কর্মীরা জানান, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গত ৯ বছরে ধরে দলের সম্মেলন হয়নি। এতে দল ঝিমিয়ে পড়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্মেলনটি হবে কি না, তা নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই রয়েছে সংশয়। 


তবে কাউন্সিলে দলীয় আদর্শে বিশ্বাসী ত্যাগী আর নিবেদিতদের স্থান দিতে আহবান জানিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত করা হতে পারে এমন ধারণা সকলের।


ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি মো: সাদেক কুরাইশী বলেন, সব ঠিক থাকলে আজ সম্মেলনের মাধ্যমে হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন এটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।


আরো পড়ুন:


 



নামাজ পড়ায় লখনৌতে লুলু গ্রুপের বৃহৎ ওই মল বয়কটের ডাক হিন্দুত্ববাদীদের


ভারতে প্রকাশ্য স্থানে মুসলিমদের নামাজ পড়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি নানা জায়গায় হিন্দুদের যে প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে তার সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে।


ওই শহরে লুলু শিল্পগোষ্ঠীর একটি নতুন ও অত্যাধুনিক শপিং মলের ভেতরে একদল লোকের নামাজ পড়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্য পুলিশ ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।


প্রকাশ্য স্থানে নামাজ পড়ে দেশের আইন ভাঙা হয়েছে- একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী এই মর্মে এফআইআর করলে পুলিশ ওই নামাজিদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর চার্জও এনেছে।


এদিকে এই বিতর্কের পর মল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন তাদের কম্পাউন্ডের ভেতরে কোনও ধরনের সমবেত ধর্মীয় প্রার্থনারই অনুমতি নেই - তবে এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশে বিদেশি বিনিয়োগ টানার চেষ্টা ধাক্কা খাবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।


মলে নামাজ : কী প্রতিক্রিয়া?

লুলু মলে বেড়াতে আসা এক মুসলিম দম্পতিও বিবিসি হিন্দিকে বলছিলেন, তারা মলের ভেতরে এসে এভাবে নামাজ পড়া সমর্থন করেন না।


লখনৌর বাসিন্দা আশরাফ বেইগের কথায়, "এটা তো অন্যায় কথা। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ আছে, পড়তে হলে ঠিক সময়ে সেখানে চলে যাও।"


লখনৌতে বিপাকে লুলু গ্রুপ

দুই হাজার কোটি রুপিরও বেশি খরচ করে এবং ২২ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে লুলু শিল্পগোষ্ঠী লখনৗতে যে নতুন মল তথা হাইপারমার্কেটটি চালু করেছে সেটি ভারতে তো বটেই, সমগ্র এশিয়াতেই বৃহত্তম বলে দাবি করা হচ্ছে।


আরো পড়ুন:


 




ট্রাক চাপায় গর্ভবতী মায়ের প্রাণ গেলেও জন্ম হল গর্ভের শিশুটির


ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে এক সড়ক দুর্ঘটনার সময় জন্ম নিয়েছে এক শিশু। শনিবার বিকেলে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান স্বামী, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তাদের এক মেয়ে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সময় অন্তঃসত্ত্বা নারী জন্ম দিয়ে গেছেন একটি কন্যা শিশুর।


যেভাবে জন্ম হল শিশুটির

শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের কোর্ট ভবন এলাকার ঘটনা: স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও ছয় বছর-বয়সী মেয়ের সাথে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন ন'মাসের অন্তঃসত্ত্বা ত্রিশালের রায়মনি গ্রামের রত্না বেগম।অনাগত সন্তানের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে তা জানতে কাছেই একটি ক্লিনিকে আলট্রাসাউন্ড করাতে যাচ্ছিলেন তারা।


কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন পরিবারের সবাই। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হলেও এই দুর্ঘটনায় বেঁচে গেছে কয়েক মুহূর্ত আগ পর্যন্ত মাতৃগর্ভে থাকা শিশুটি।


ঘটনার পরপরই সেখানে উদ্ধারকাজে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ত্রিশাল ফায়ার স্টেশনের সাব অফিসার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন।তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছেন, "আমরা গিয়ে দেখি রাস্তায় দুটো লাশ পড়ে আছে। একজন নারী ও একজন পুরুষ। যাদের মুখ একদম বিকৃত হয়ে গেছে। ট্রাকের সামনের দিকের চাকার নিচে পড়েছেন ভদ্রলোক। গর্ভবতী নারীর শরীরের বাম দিকের এক পাশ দিয়ে ট্রাকের পেছনের চাকাটা চলে গেছে। চাকার চাপে পেট ফেটে নাড়িভুঁড়িসহ বাচ্চাটা বের হয়ে এসেছে।


"ত্রিশালে রোজই দু-একটা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে কিন্তু এরকম ভয়াবহ ঘটনা আমার চাকুরি-জীবনে দেখিনি। এটা যেন একটা অলৌকিক ঘটনা। আমরা পরে মরদেহ দুটি বডিব্যাগে ভরে পুলিশের হাতে তুলে দেই।"


উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছানোর আগেই ঘটনাস্থলের কাছে থাকা মানুষজন নবজাতক ও ছয় বছর-বয়সী কন্যা শিশুটিকে কাছেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।


সেখানে চিকিৎসকেরা ছয় বছর-বয়সী শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ এসে রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহ দুটি নিয়ে যায় থানায়।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, "দুর্ঘটনার পর আশপাশের লোকজন যখন কাছে গেল তারা দেখতে পেল তিনটা বডি পড়ে রয়েছে। তারা একদম নতুন জন্ম নেয়া বাচ্চার কান্নাও শুনতে পাচ্ছিল। কিন্তু হট্টগোলের মধ্যে কোথা থেকে কান্নাটা আসছে সেটা বুঝতে পারেনি। পরে তারা দেখে যে মহিলার বোরখার নিচে একটা বাচ্চা। সাথে সাথে কেউ বোঝেনি যে বাচ্চাটা পেট ফেটে বের হয়েছে।"


তিনি জানিয়েছেন ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হওয়ায় এবং অনেক প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনেই দুর্ঘটনাটি ঘটার কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তিনজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মৃত জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই শরীফ উদ্দিন জানিয়েছেন শনিবার রাতেই মৃতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 



বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ পেতে ভোগান্তি অনেক 


বিদেশ থেকে দেশে ফিরেও প্রবাসীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শুধু লাগেজ নিয়ে বের হতেই সময় লাগছে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা।

লাগেজ বেল্ট থেকে লাগেজ এলোমেলোভাবে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেল্টের কর্মীদেরও ব্যবহার ভালো নয় বলে অভিযোগ অনেকের।  

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিন দুপুর দুটার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন মো. হুমায়ুন। বিমানবন্দরের টার্মিনালে-১ এ (ক্যানপি-১) তিনি স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যাবেন কুমিল্লা। হুমায়ুন বাংলানিউজকে বলেন, চার মাস আগে গিয়েছিলাম সৌদি আরব। অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে এসেছি। 

প্লেন থেকে নেমেছি দুপুর দুইটায়। কাস্টমস হয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে আমার সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের কথা কী বলবো? বাঙালি আসলে খুব খারাপ। এই দেশের কেউ পদ পেলে মানুষকে আর মানুষ মনে করে না। 


বিদেশ থেকে ফেরার সময় দেশে প্রিয়জনের জন্য লাগেজ ভর্তি নানা ধরনের মালামাল নিয়ে আসেন প্রবাসীরা।  


অথচ লাগেজ পাওয়ার ভোগান্তির কারণে দীর্ঘদিন পর দেশে আসার আনন্দ অনেক সময় ম্লান হয়ে যায়। প্লেন থেকে নামার কয়েক ঘণ্টা পরও মেলে না লাগেজ। মাঝে মধ্যে মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে অনেক সময় অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাননি ভুক্তভোগী যাত্রীরা।  

 

সম্প্রতি লাগেজ পাওয়ার বিষয়ে তদারকি বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন লাগেজ পেতে বোর্ডিং পাসের সঙ্গে যুক্ত টোকেনও লাগবে। টোকেন ছাড়া কেউ লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে যেতে পারেন না।  


নাম প্রকাশে একাধিক কর্মী জানান, টোকেন দেখে লাগেজ দেয়ার নিয়ম থাকলেও আগে সেভাবে এটি মানা হতো না। তবে এখন যাত্রীদের হয়রানি লাঘবে বেশ কঠোর ওই নিয়ম মানা হয়।  

 

সরেজমিনে দেখা যায়, উড়োজাহাজ থেকে টু-ট্র্যাক্টর (লাগেজ সরবরাহ যান) থেকে লাগেজ কনভেয়ার বেল্টে ফেলা হচ্ছে। এখান থেকে যাত্রীরা নিজের লাগেজ শনাক্ত করছেন। এরপর তা বোর্ডিংপাসে থাকা টোকেন দেখে নিশ্চিত হওয়ার পরই লাগেজের ছাড় দেয়া হচ্ছে।  

-

যাত্রীর বোর্ডিংপাসের সঙ্গে থাকা টোকেন না মিললে আটকে দেয়া হচ্ছে লাগেজ।  

 


সম্প্রতি আমেরিকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরেছেন শরিফুল ইসলাম সুমন নামে একযাত্রী। তিনি নিজেও টোকেন দেখে নিজের লাগেজ সংগ্রহ করেছেন।  


এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উদ্যোগটা ভালো। এটা না করলে কে কখন কার লাগেজ নিয়ে যায় তার কোনো ঠিক থাকে না। তবে এখনও অনেক সময় লাগেজের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সিস্টেমটা আরো দ্রুত করা দরকার।  


‘বিমানবন্দরের দুর্বল গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কারণে লাগেজ পেতে দেরি হয়। অনেক সময় লাগেজ কেটে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল বের করে নেয়া হয়। এসবের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত ধরে জেলে ভরা উচিৎ,’ যোগ করেন এই যাত্রী।

 


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে টোকেন দেখে লাগেজ দেয়ার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তারপরও যাত্রীদের ভোগান্তি থেমে নেই। বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাত্র ৮টি কনভেয়ার বেল্ট রয়েছে।  

এসব কনভেয়ার বেল্টে সমস্ত লাগেজ খালাস হচ্ছে না। ফলে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন।


সংশ্লিষ্টরা বলেন, বর্তমান চাহিদা অনুসারে বিমানবন্দরে দৈনিক ২০ থেকে ২৫টি টু-ট্র্যাক্টর প্রয়োজন, সেখানে আছে নামে মাত্র ক’টি। আর এগুলো দিয়েই কোনো মতে কাজ চালানো হচ্ছে।  

ভুক্তভোগীরা বলেন, বিমানবন্দরে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপগামী যাত্রীদের। এসব দেশ থেকে সরাসরি ঢাকার ফ্লাইট নেই বললেই চলে।  


আরো পড়ুন:

  1. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী
  2. সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  7. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  8. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  9. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  10. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  11. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  12. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

 


বর্ষাকালে নেই বৃষ্টির দেখা, তীব্র গরম কমবে কবে?


বাংলাদেশে আষাঢ় শেষে শ্রাবণ মাস শুরু হলেও গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির দেখা নেই।

বিগত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করে আছে।

আকাশে শরত ও হেমন্তকালের মতো বিক্ষিপ্ত মেঘের আনাগোনা এবং একই সাথে তীব্র খরতাপ।

ফলে ভরা বর্ষাকালেও বাংলাদেশের মানুষকে ভ্যাপসা গরমের যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে।

বর্ষাকালে আবাদি জমি ফেটে চৌচির

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র রোদে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের কৃষিখাত।


জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কৃষক মো. রেজওয়ানের আবাদি জমি এরইমধ্যে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।



অন্যান্য বছর এ সময়ে জলমগ্ন জমিতে আমনের চারা বুনলেও এবারে বৃষ্টির অভাবে জমিতে পানি নেই।

আমন চারার বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, ইতোমধ্যে অনেক চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে কটা সবজি চাষ করেছেন সেগুলোও তীব্র গরমে নষ্ট হওয়ার পথে।


সামনের ক'দিন বৃষ্টি না হলে অতিরিক্ত টাকা গুনে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জানান।


মি. রেজওয়ান বলছিলেন, "আমরা তো কৃষিকাজ করি। কিন্তু সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মাঠে থাকতে পারি না। রোদে গা জ্বলে।মাঠে তো এক ছটাক বৃষ্টি নাই। আমন বোনার কোন পানিও নাই। আমনের চারাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবজি চাষ করছি। সেগুলিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হলে তো সেচ দিতে হবে। তখন দাম বেড়ে যাবে।"


গ্রামের মতো শহরাঞ্চলেও রোদের তাপ ও গরমে খোলা আকাশের নীচে কাজ করা মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম হয়েছে। এমনকি ঘরের জানালা দরজা খুললেও ভেসে আসছে গরম বাতাসের হলকা।


ভারী বৃষ্টি এই গরম কমার সম্ভাবনা নেই বলছেন আবহাওয়াবিদরা।


কেন এতো গরম, বৃষ্টি নামবে কবে?

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে গত সাত দিনের মতো রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া ও সিলেটসহ কয়েকটি জেলার ওপর তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

যদি টানা তিন দিন অন্তত ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করে, সেটাকেই তাপপ্রবাহ বলে।


আরো পড়ুন:


 



হুমকি-ক্রোধ ভুলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কেন এখন সৌদি আরবে


ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে আমেরিকার বহু মানুষের মত জো বাইডেনও ক্ষুব্ধ। এরপর সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডে তিনি যুবরাজ সালমান এবং সৌদি রাজপরিবারের ওপর এতটাই নাখোশ হয়েছিলেন যে নির্বাচনী প্রচারণায় ঘোষণা দেন ক্ষমতায় গেলে তিনি এই সৌদি শাসকদের 'একঘরে' করে ছাড়বেন।


আমেরিকা দশকের পর দশক ধরে প্রধানত জ্বালানি তেলের স্বার্থে মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে সৌদি রাজপরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছে।


কিন্তু মি. বাইডেন ক্ষমতায় এসে বলতে শুরু করেন বাইরের যে কোনো দেশের সাথে তার সরকারের সম্পর্কের ভিত্তি হবে মানবাধিকার।


এরপর নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গিয়েও তিনি সৌদি যুবরাজ সালমানের সাথে দেখা করতে বা কথা বলতে অস্বীকার করেন। সৌদি যুবরাজ তার সাথে কথা বলতে কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সৌদি আরবের কাছে নূতন অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করেন মি. বাইডেন।


সৌদি আরবে সফরের খবর নিশ্চিত হওয়ার পরও অর্থাৎ গত মাসেও মি. বাইডেন বলেন যুবরাজ সালমানের সাথে তার কোনো কথা হবেনা। কিন্তু পরে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় দুজনের মধ্যে জেদ্দায় কথা হবে।

কেন এই সুর বদল? বাইডেনের সাফাই১৮ মাসের মাথায় এসে কেন উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করলেন মি, বাইডেন?



বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তবতার কাছে মাথা নত করছেন বা মেনে নিচ্ছেন ৭৯ বছরের এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর এর পেছনে প্রধানত কাজ করছে ইউক্রেন যুদ্ধ।


গত কয়েকদিন ধরে নিজেই তার মত বদলের পক্ষে যুক্তি তুল ধরার চেষ্টা করেছেন মি. বাইডেন।

কদিন আগে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নিজের লেখা এক নিবন্ধে তিনি বলেছেন, সৌদি আরবকে "ব্ল্যাংক চেক" দেওয়ার নীতি তিনি বদলে দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ইউরোপে যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের এবং সৌদি আরবের গুরুত্ব তিনি অনুধাবন করছেন।

মি. বাইডেন লিখেছেন, "রাশিয়ার আগ্রাসনের পাল্টা ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় আমাদের শক্ত অবস্থান প্রয়োজন....এ কারণে সেসব দেশের সাথে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে যারা আমাদের চেষ্টায় সাহায্য করতে পারে। সৌদি আরব তেমন একটি দেশ।"


জেরুজালেমে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিডের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন সৌদি যুবরাজের সাথে বৈঠকে তিনি খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের কথা তুলবেন কিনা।

সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে মি. বাইডেন আবারও যুক্তি তুলে ধরেন কেন তিনি সৌদি আরব যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, "অশান্ত মধ্যপাচ্যের" স্থিতিশীলতার জন্য এবং এই অঞ্চল যেন "চীন ও রাশিয়ার প্রভাব বলয়ে ঢুকে না পড়ে" সেজন্য সৌদি আরবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।


"খাসোগজির ব্যাপারে আমার অবস্থান সুস্পষ্ট। আমি কখনই মানবাধিকারের প্রশ্নে চুপ থাকবো না। কিন্তু আমি সৌদি আরব যাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের প্রভাব সংহত করার এটি একটি সুযোগ।"


মি. বাইডেন সরাসরি বলেন, আমেরিকা যখন বিশ্বে তাদের প্রভাব ধরে রাখতে চীন ও রাশিয়ার সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত, সেখানে "সৌদিদের অবজ্ঞা করলে আমেরিকার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে।"


"এর সাথে এখন আমেরিকার স্বার্থ জড়িত। এই অঞ্চলে আমেরিকার নেতৃত্ব অক্ষত থাকুক আমি তা নিশ্চিত করতে চাই । এমন কোনো শূন্যতা যেন এখানে তৈরি না হয় হয় যেখানে রাশিয়া এবং চীন তা পূরণ করে ফেলে।"


এটা অনস্বীকার্য যে গত ১৮ মাস ধরে হোয়াইট হাউজের সাথে সম্পর্ক শীতল হয়ে যাওয়ায় সৌদিরা চীন ও রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বাড়িয়েছে। চীনের সাথে সৌদি আরবের ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে। মি. পুতিনের সাথে যুবরাজ সালমানের সম্পর্ক বেশ উষ্ণ।

তাছাড়া, আমেরিকা অবজ্ঞা করলেও দেশের ভেতর ক্ষমতা সংহত করতে তাকে তেমন কোনো বেগ পেতে হচ্ছেনা, এবং আমেরিকা চায় বা না চায় তিনিই যে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দেশের বাদশাহ হচ্ছেন তা নিয়ে তেমন কোনো সন্দেহ আর নেই।কদিন আগে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নিজের লেখা এক নিবন্ধে তিনি বলেছেন, সৌদি আরবকে "ব্ল্যাংক চেক" দেওয়ার নীতি তিনি বদলে দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ইউরোপে যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের এবং সৌদি আরবের গুরুত্ব তিনি অনুধাবন করছেন।


মি. বাইডেন লিখেছেন, "রাশিয়ার আগ্রাসনের পাল্টা ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় আমাদের শক্ত অবস্থান প্রয়োজন....এ কারণে সেসব দেশের সাথে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে যারা আমাদের চেষ্টায় সাহায্য করতে পারে। সৌদি আরব তেমন একটি দেশ।"


জেরুজালেমে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিডের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন সৌদি যুবরাজের সাথে বৈঠকে তিনি খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের কথা তুলবেন কিনা।

সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে মি. বাইডেন আবারও যুক্তি তুলে ধরেন কেন তিনি সৌদি আরব যাচ্ছেন।


তিনি বলেন, "অশান্ত মধ্যপাচ্যের" স্থিতিশীলতার জন্য এবং এই অঞ্চল যেন "চীন ও রাশিয়ার প্রভাব বলয়ে ঢুকে না পড়ে" সেজন্য সৌদি আরবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।


"খাসোগজির ব্যাপারে আমার অবস্থান সুস্পষ্ট। আমি কখনই মানবাধিকারের প্রশ্নে চুপ থাকবো না। কিন্তু আমি সৌদি আরব যাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের প্রভাব সংহত করার এটি একটি সুযোগ।"

মি. বাইডেন সরাসরি বলেন, আমেরিকা যখন বিশ্বে তাদের প্রভাব ধরে রাখতে চীন ও রাশিয়ার সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত, সেখানে "সৌদিদের অবজ্ঞা করলে আমেরিকার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে।"

"এর সাথে এখন আমেরিকার স্বার্থ জড়িত। এই অঞ্চলে আমেরিকার নেতৃত্ব অক্ষত থাকুক আমি তা নিশ্চিত করতে চাই । এমন কোনো শূন্যতা যেন এখানে তৈরি না হয় হয় যেখানে রাশিয়া এবং চীন তা পূরণ করে ফেলে।"

এটা অনস্বীকার্য যে গত ১৮ মাস ধরে হোয়াইট হাউজের সাথে সম্পর্ক শীতল হয়ে যাওয়ায় সৌদিরা চীন ও রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বাড়িয়েছে। চীনের সাথে সৌদি আরবের ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে। মি. পুতিনের সাথে যুবরাজ সালমানের সম্পর্ক বেশ উষ্ণ।

তাছাড়া, আমেরিকা অবজ্ঞা করলেও দেশের ভেতর ক্ষমতা সংহত করতে তাকে তেমন কোনো বেগ পেতে হচ্ছেনা, এবং আমেরিকা চায় বা না চায় তিনিই যে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দেশের বাদশাহ হচ্ছেন তা নিয়ে তেমন কোনো সন্দেহ আর নেই।


আরো পড়ুন:


 


রাণীশংকৈলে ৩ ইউপিতে নির্বাচন নৌকা প্রতিকে আ.লীগ, স্বতন্ত্রে বিএনপি ! 


আসন্ন নির্বাচনে আনারস প্রতিকের একটি পোষ্টারে মনতাজ আলী নামে মুরব্বী ধরনের একজন মানুষের ছবি । তার পাশেই লেখা রয়েছে সভাপতি ৩নং হোসেনগাঁও ইউপি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ঠিক এভাবেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন বিএনপি’র মূল ধারার সংগঠনের নেতারা। অথচ বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা বলছেন এ সরকারে অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশগ্রহণ করবে না। এদিকে তিনটি ইউনিয়নে বিএনপির মূল ধারার নেতারাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। এতে প্রচার প্রচারণায় নামছেন বিএনপির ওর্য়াড পর্যায়ের নেতারাও। 


প্রতিকে নির্বাচন না করলেও স্বতন্ত্রে তারা নির্বাচনে কোমড় বেধেঁ নেমেছেন। অন্যদিকে দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন আ’লীগের নেতারা।



রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন অফিস ও দলীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে আ.লীগের দলীয় প্রতিকে নির্বাচন করছেন ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে, ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল বারী, ৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক জিতেন্দ্র নাথ রায়।


অন্যদিকে ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি এম জি রব্বানী ঘোড়া প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। দলীয় প্রতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাকে সম্প্রতি দল থেকে বহিস্কার করেছে জেলা আ.লীগ। এদিকে বিএনপি দলীয় প্রতিকে অংশ গ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে নেমেছেন কোমরবেঁধে। 



৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি মমতাজ আলী আনারস প্রতিকে ভোট করছেন। ৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি আবু জাহিদ ঘোড়া প্রতিকে এবং ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি জমিরুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশাহ আলম আনারস প্রতিকে তাদের সমর্থিত নেতাকর্মিদের নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।

অন্যদিকে ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র হিসাবে চেয়ারম্যান পদে সুজন মুর্মূ চশমা প্রতিকে, ৮নং নন্দুয়ারে স্বতন্ত্র মাওলানা আলহাজ্ব শহিদুল্লাহ ঘোড়া প্রতিকে 

৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি সমর্থিত আজিজুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও আকতারুল ইসলাম ঘোড়া প্রতিকে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র ভোট করছেন জৌতিষ চন্দ্র রায় চশমা প্রতিকে।


সরেজমিনে প্রতিটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, বিএনপির ওর্য়াড পযায়ের নেতারা তাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা বলছেন,স্থানীয় নির্বাচনে আমরা স্বতন্ত্র অংশ গ্রহণ করেছি। এখানে দলীয়ভাবে তো আর করিনি। স্থানীয় নির্বাচনে কোন দল নেই। আমাদের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে, তাই আমরা কাজ করছি।

হোসেনগাঁও ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শান্ত বলেন, আমাদের স্থানীয় ভোটারদের মনোনীত প্রার্থী মনতাজ আলীর পক্ষে আমরা কাজ করছি। আমরা কোন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি না। তাছাড়া দলীয়ভাবে যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। তাই আমরা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি।


নন্দুয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জমিরুল ইসলাম বলেন, আমি গতবার দলীয় প্রতিকে নির্বাচন করে বিজয় লাভ করেছিলাম। এবার দল নির্বাচন করছে না। তবে স্থানীয় সমর্থকদের চাপের কারণে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে হচ্ছে।


হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি 

ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনতাজ আলী বলেন, সাধারণ মানুষের চাহিদার কারণে তিনি ভোটে দাড়িয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও তার জন্য প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করছেন।


বাচোঁর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু জাহিদ বলেন, ভোটে অংশ গ্রহণ করেছি স্থানীয় কারণে এখানে দলের কোন হিসাবে নেই। দল এ বিষয়ে কোন সহায়তা তিনাকে করছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।


নৌকা প্রতিকের হোসেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। তবে স্বতন্ত্রভাবে, তা যেভাবে নির্বাচন করছে করুক একটি অংশগ্রহণ মূলক সুষ্ঠ নির্বাচন হোক এটাই আমার চাওয়া।


নৌকার নন্দুয়ার ইউনিয়নের আব্দুল বারী 

ও বাচোঁর ইউনিয়নের জিতেন্দ্র নাথ বলেন, বিএনপি মুখে বলে নির্বাচন করবো না । কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ের মুল ধারার নেতারা স্বতন্ত্রে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। তাদের দলীয় নেতাকর্মিরাও কাজ করছে। বিএনপি নির্বাচনে এসেছে ভোট করছে এটা আমাদের ভালো লাগছে। আমরা তাদের সাধূবাদ জানাই।


উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিয়নে মোট ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের তিনজন, অন্য ১২ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করছে। তিনটি ইউনিয়নে সাধারণ মহিলা আসনে মোট প্রার্থী ৪৫ জন এবং সাধারণ আসনে ৮৭ জন অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনটি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৬১ হাজার ১৪৮ জন। ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৭ জুলাই।


উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার বলেন, কেউ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। তবে দলের কেউ স্থানীয় কারণে ভোটে অংশ গ্রহণ করলে তার দায় দায়িত্ব সে নিবে। দল কোনভাবেই ওই প্রার্থীর কোন দায়িত্ব নেবে না। ওর্যাড পর্যায়ের নেতারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেও তারা দলীয় ব্যানারে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, কেউ তার নির্বাচনী পোষ্টারে দলের পরিচয় লেখলে সেটির সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ।

উপজেলা আ.লীগের অন্যতম সদস্য তারেক আজিজ বলেন, বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ গ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্রভাবে দলবল নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। এবং তারা বিএনপির প্রার্থী 

এ হিসাবে বিএনপি সমর্থকদেরও নিকটও ভোট প্রার্থনা করছেন। তাদের ওর্যাড পপর্যায়ের  নেতারা কোমর বেধেঁ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।


আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget