Latest Post

 



ঝিনাইগাতীতে ঐতিহাসিক কাটাখালী যুদ্ধ দিবস পালিত।


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৬ জুলাই বুধবার ‘অপারেশন কাটাখালি' ঐতিহাসিক কাটাখালী যুদ্ধ দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে এখানে সম্মুখ সমরে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃতি শিক্ষার্থী অপারেশন কমান্ডার নাজমূল আহসান  এবং তাঁর পরিবারের অপর দুই মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেন সহ ১২ জন শহীদ হন। 

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার দুপুর ১২ ঘটিকায় স্মৃতিসৌধে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ। এরপর বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুরুজ্জামান, মালিঝিকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি মো.নমশের আলম, 

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল আমীন, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. ছামেদুল হক, মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক (সাবেক) তুষার আল নূর সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষে দোয়া পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস।

উল্লেখ্য যে, শেরপুর-ঝিনাইগাতী- নালিতাবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে কাটাখালী ব্রিজটি পারি দিয়ে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইগাতী উপজেলার আহাম্মদ নগরে ছিল ১১ নং সেক্টরের বিপরীতে পাক আর্মির হেডকোয়ার্টার। এছাড়াও কোয়ারিরোড, রাংটিয়া পাতার মোর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাও ও নালিতাবাড়ী এবং ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার অনেকগুলো ক্যাম্পের সাথে যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থার একমাত্র পথ ছিল এটি।

জানা যায়, কাটাখালী ব্রিজটি ধ্বংস করতে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি অভিযান ব্যর্থ হয়। অবশেষে ১৯৭১ সালের ৫ জুলাই রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কোম্পানি কমান্ডার নাজমূলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ডিনামাইট ফিট করে কাটাখালি ব্রিজটি উড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। এর ফলে ১১ নং সেক্টরের বিপরীতে পাক আর্মির হেডকোয়ার্টার আহাম্মদনগর ক্যাম্প সহ ভারতের মেঘালয় সীমান্ত এলাকায় অনেকগুলো ক্যাম্পের সাথে পাক আর্মির যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে উল্লেখযোগ্য এলাকার যুদ্ধ পরিস্থিতি বদলে যায়।

সফল ওই অপারেশন শেষ করতে ভোর হয়ে যাওয়ায় পাশ্ববর্তী রাঙামাটি খাঠুয়াপাড়া গ্রামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে হাজী নঈমুদ্দিন ও হাজী শুকুর মামুদের বাড়িতে আশ্রয় নেন মুক্তিযোদ্ধারা। দিনের আলো ফুটে উঠায় কোথাও বের হওয়া নিরাপদ ছিল না। পরিশ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারা সেখানেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিন্তু ঐ গ্রামের জালাল মিস্ত্রী পাক বাহিনীর স্থানীয় হেড কোয়ার্টার আহাম্মদনগর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবরটি পৌঁছে দেয়। সংবাদ পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী ৬ জুলাই সকালে রাজাকার, আল-বদরদের সাথে নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রাম তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। পাক হানাদার বাহিনী গ্রামটি তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে অবিরাম গুলি বর্ষণ শুরু করায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাওয়ার একমাত্র পথ খোলা ছিল রাঙ্গামাটি বিল। 

ওই বিলের পানিতে নেমে কভারিং ফায়ার করতে করতে কমান্ডার নাজমুল আহসান মুক্তিযোদ্ধাদের রাঙ্গামাটি বিল সাঁতরিয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। কিন্তু পাক সেনাদের ব্রাশ ফায়ারে কমান্ডার নাজমুলের বুক ঝাঁঝড়া হয়ে যায়। শহীদ নাজমুলের লাশ আনতে গিয়ে তার চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেনও শহীদ হন। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে পাক বাহিনী রাঙ্গামাটি গ্রামে হানা দেয়। খুঁজে খুজেঁ বের করে ৬০/৭০ জন গ্রামবাসীকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন শহীদ হন। এছাড়া গ্রামের বেশ কয়েকজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় পাক হানাদার বাহিনী।  ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের তিন নারীকে সরকার বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু শহীদ পরিবারগুলোর আজো স্বীকৃতি মেলেনি। 

গ্রামবাসীদের প্রত্যাশা, তাদের স্বীকৃতি প্রদান ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হোক। স্বাধীনতা অর্জনের পর শহীদ নাজমুলের নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিদ্যালয়ে একটি হল, নালিতাবাড়ীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শহীদ নাজমুলকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন কাটাখালি’ ও রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধের সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে। স্থানীয়দের দাবির মুখে ২০১৭ সালে পুরোনো সেতুটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেতুটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছেন শেরপুর সড়ক বিভাগ। সেইসাথে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ। পাশাপাশি কাটাখালি ব্রিজ অঙ্গনে স্বাধীনতা উদ্যান প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখতে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


আরো পড়ুন:


  1. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  7. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  8. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  9. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



রাণীশংকৈলে ৩ ইউপি নির্বাচনে ২০১ মনোনয়ন দাখিল : আচরণ বিধি লঙ্গন! 


এখনো হয়নি প্রতিক বরাদ্দ তবুও নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে করে বিশাল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসেছেনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করতে।



একইভাবে ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যরা বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সামনে মনোনয়ন দাখিলে এমন আচরণ-বিধি লঙ্গনের হিড়িক হলেও তিনি অজ্ঞাত কারণেই নিশ্চুপ রয়েছেন প্রশাসন।


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অসমাপ্ত ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে

চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৩৮ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৪ জনের মোট ২০১ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার ২৮ জুন ছিল মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন।



মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হবে ৩০ জুন, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৭ জুলাই প্রতিক বরাদ্দ ৮ জুলাই এবং ভোট গ্রহণ ২৭ জুলাই। এ উপজেলায় এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান নির্বাচন অফিসার।


রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিক প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি এমজি গোলাম রব্বানী,  ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মমতাজ আলী মাস্টার ও আদিবাসী নেতা সুজন মুর্মু। 



অন্যদিকে ৫ নং বাঁচোর ইউনিয়নে

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিক প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক জীতেন্দ্রনাথ বর্মন, ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি আজিজুল ইসলাম, সতন্ত্র প্রার্থী আকতারুল ইসলাম শালমান শাহ, জ্যোতিষ চন্দ্র রায় মাস্টার ও আরজুনা বেগম।


৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিক প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আবু সুলতান, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আল্লামা ইকবাল, ইউনিয়ন আ.লীগ সহ-সভাপতি দিগেন্দ্রনাথ রায়, উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকী, ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি জমিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশা আলম এবং জামায়াত সমর্থিত নেতা শহিদুল্লাহ হাফেজ। 


এদিকে আ.লীগ এই ৩টি ইউনিয়নে দলীয় প্রতিকে মনোনয়ন দিলেও দুটি ইউনিয়নে আ.লীগের একাধিক প্রার্থী  মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এতে বিপাকে পড়েছে আ.লীগের নেতাকর্মিরা। অপরদিকে বিএনপি দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে না গেলেও তাদেরও তিনটি ইউনিয়নে রয়েছে ৪ জন প্রার্থী। 


উপজেলা নির্বাচন অফিসার নুর-ই আলম  মুঠোফোনে বলেন,একজন প্রার্থী সর্ব্বোচ  ৫ জন ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন। কখনোই বিশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা ও প্রতিক নিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা যাবে না। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তবে আচরণ-বিধি লঙ্গনের বিষয়টি দেখার জন্য আইনশৃঙ্গলা বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে।


আরো পড়ুন:


 



বেনাপোল সীমান্ত থেকে অস্ত্র-গুলি ও ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি


যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রাম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, ২টি ম্যাগজিনসহ ২৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।


মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ভোরে অস্ত্র, গুলি, ম্যাগাজিন ও ফেন্সিডিল উদ্ধার করে সীমান্তের কায়বা বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা। তবে এসময় কাউকে আটক করা যায়নি। 


খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মাদ তানভীর রহমান উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে কায়বা ক্যাম্পে কর্মরত নায়েব সুবেদার লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামে বিশেষ অস্ত্র ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানের সময় দৌলতপুর গ্রামের রাস্তার পাশে কলাবাগানে একটি ব্যাগের মধ্য থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি এবং ২টি ম্যাগজিনসহ ২৯ বোতল ফেন্সিডিল মালিকবিহীন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলি ম্যাগাজিন ও ফেন্সিডিল বেনাপোল পোর্ট থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।


আরো পড়ুন:

  1. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  7. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  8. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  9. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 


লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত' সৈন্যের সংখ্যা প্রায় দশগুণ বাড়াচ্ছে নেটো


যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট তাদের 'যুদ্ধ করতে প্রস্তুত' এমন সেনা সংখ্যা বিপুল সংখ্যায় বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর নেটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একে সবচেয়ে বড় পুনর্গঠন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।

নেটো জোটের মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ বলছেন, এ জোটের ' দ্রুত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত' সৈন্যের সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে প্রায় দশগুণ বাড়িয়ে ৩ লক্ষাধিকে উন্নীত করছে।


এটি একটি নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা - এবং এ সপ্তাহেই মাদ্রিদে একটি শীর্ষ সম্মেলন হবে যেখানে এটা অনুমোদিত হতে পারে।

মি. স্টোলটেনবার্গ বলছেন, ইউরোপের নিরাপত্তার প্রতি রাশিয়ার প্রত্যক্ষ হুমকির পরই এই সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তার কথায়, নতুন এই "সামরিক ব্লুপ্রিন্ট" পূর্ব ইউরোপে নেটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করা হবে।

পোল্যান্ডের আকাশ টহল দিচ্ছে নেটো বাহিনীর অংশ তুরস্কের যুদ্ধবিমানপোল্যান্ডের আকাশ টহল দিচ্ছে নেটো বাহিনীর অংশ তুরস্কের যুদ্ধবিমান

নেটোর এই "র‍্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স" হচ্ছে স্থল, নৌ ও বিমান সেনা ও সরঞ্জামের সমন্বয়ে তৈরি করা একটি বাহিনী - কোন আক্রমণ হলে যাদেরকে দ্রুতগতিতে মোতায়েন করা যাবে। ২০১৪ সালের আগে এ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১৩,০০০ - আর এখন তা বেড়ে ৪০,০০০ হয়েছে।


ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর এই সৈন্যদের ইতোমধ্যেই লাৎভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডে উচ্চ-প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়ায় আরো 'যুদ্ধের জন্য তৈরি' সেনাদল মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।


স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তীকালে ২০১০ সালে নেটো জোট রাশিয়ার ব্যাপারে নতুন অবস্থান নিয়েছিল। রাশিয়াকে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে "কৌশলগত অংশীদার" বলা হতো। তবে এখন তা বদলে যাচ্ছে - জানাচ্ছেন মি. স্টোলটেনবার্গ।রাশিয়ার নতুন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র 'সারমাত' কেন পাল্টে দিতে পারে শক্তির ভারসাম্য


পুতিনের মাথায় কী ভাবনা ঘুরছে? জানার চেষ্টায় পশ্চিমা গুপ্তচরেরামানচিত্রে ইউরোপের নেটো জোটভুক্ত দেশগুলো

"নেটো জোটের নিরাপত্তা ও মূল্যবোধের প্রতি সবচেয়ে বড় ও প্রত্যক্ষ হুমকি হচ্ছে রাশিয়া" - বলেন তিনি।তবে নতুন পরিকল্পনাটিতে এই প্রথমবারের মতো নেটো জোটের প্রতি চীনের চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও থাকবে।

মি. স্টোলটেনবার্গ বলেন, নেটো জোটের অগ্রবর্তী প্রতিরক্ষাকে আরো শক্তিশালী করা হবে, জোটের পূর্বদিকের সদস্য দেশগুলোতে যোদ্ধা গ্রুপগুলোকে ব্রিগেড স্তর পর্যন্ত বাড়ানো হবে, আগে থেকে মোতায়েন করা সরঞ্জামগুলোও উন্নত করা হবে।সবসময়ই ইউক্রেনের পাশে থাকবেন জি-সেভেন নেতারাজার্মানির ব্যাভারিয়ায় জি-সেভেন শীর্ষ বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেন প্রসঙ্গই প্রাধান্য পায় আজ।


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভিডিও লিংকে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন । এতে তিনি বলেন, তিনি চান যেন শীতকাল আসার আগেই এ যুদ্ধ শেষ হয়।


আরো পড়ুন:


  1. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  7. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  8. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  9. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী



 


জনের 'বিগ বস’ কিনলে মোটরসাইকেল উপহার! 


১ হাজার ৫৫০ কেজি (প্রায় ৩৭ মনের বেশি) ওজনের 'বিগ বস'কে কিনলেই পাওয়া যাবে একটি পালসার মোটরসাইকেল। 'বিগ বস' নামের ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।


যেকোন উৎসব এলেই দেখা যায় বিভিন্ন পণ্যে অফারের হিড়িক লেগে যায়। কেউ দেন একটার সঙ্গে অন্যটা ফ্রি। আবার কেউ দেন দামে ছাড়। তবে এবারের কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ‘বিগ বস’ নামের একটি ষাঁড়ের সঙ্গে মোটরসাইকেল উপহার দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ষাঁড়টির মালিক।



আসন্ন কোরবানির ঈদে গরুটি (বিগ বস) বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন আফিল উদ্দীন। সে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের বাসিন্দা। বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। পাঁচ বছর আগে তিনি একটি গরু ক্রয় করেন। প্রাকৃতিক খাবার ও ফলমূল খাওয়ানোর পর গরুটি এখন বিশাল আকারের হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে 'বিগ বস'। বিগ বসের ওজন এখন প্রায় ৩৭ মণ। উচ্চতা ৬ ফুট আর লম্বায় ১০ ফুট। 



প্রতিনিয়ত গরুটি দেখার জন্য আফিল উদ্দীনের বাড়িতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও গরুটি কেনার জন্য ছুটে আসছেন অনেকে। তবে দামে না মেলায় কিনতে পারছেন না তারা।


প্রতিবেশী মোকসেদ আলী বলেন, আফিলউদ্দীন গরুটির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি কোরবানির ঈদে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।

গরুটি কিনতে আসা ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে গরুটি সম্পর্কে জানতে পারি। তারপরে এখানে গরুটি ক্রয় করার জন্য আসি। মালিক অনেক বেশি দাম চাওয়ায় আমি নিতে পারিনি। 



গরুর মালিক আফিল উদ্দিন বলেন,আমি কোন গরু ব্যবসায়ী নই। শখের বসে এলএলসি জাতের গরুটি ক্রয় করেছিলাম এক বছর বয়সে।পাঁচ বছর ধরে আদর-যত্নে ষাঁড়টিকে লালন করছি। দানাদার ও তরল খাদ্য হিসেবে খইল, ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুসি, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুঁড়া খাওয়াই। পাশাপাশি খাওয়ানো হয় বিভিন্ন ফলমূল। এখন বিগ বসের পেছনে প্রতিদিন খাবার লাগে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার। তারপর এটির পেছনে পাঁচ বছর সময় দিয়েছি। গরুকে মোটাতাজা করার জন্য কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার করিনি।

এলাকায় যে কয়টা ষাঁড় আছে, সেগুলোর তুলনায় আকারে অনেক বড় হওয়ায় তিনি ষাঁড়টির নাম রেখেছেন 'বিগ বস'।



বিগ বসের দাম কত জিজ্ঞেস করতেই আফিল উদ্দিন বলেন, ‘বিগ বসের' ওজন ১ হাজার ৫০০ কেজির বেশি। তাই দাম চাচ্ছি ৩৫ লাখ টাকা। এই দামে কিনলে বিগ বসের সঙ্গে টিভিএস ব্র্যান্ডের একটি মোটর সাইকেল উপহার দেব।’ এখন পর্যন্ত এটির দাম ২২ লাখ টাকা উঠেছে। 


ষাঁড়ের সঙ্গে মোটরসাইকেল কেন জানতে চাইলে আফিল উদ্দিন বললেন, ‘ঈদের খুশিতে কতজন কতভাবে উপহার দেয়। আমি নাহয় একটি মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে বিগ বসকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।


হরিপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু কায়েস বিন আজিজ  বলেন, বিগ বস, নামের গরুটি আমাদের জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির ও বেশি ওজনের গরু। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে প্রায়ই সেটির খোঁজখবর নিই। এবারের কোরবানির হাটে তাঁর বড় আকারের ষাঁড়টি বিক্রির জন্য উঠবে। তিনি ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা

আরো পড়ুন:

  1. ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনকে ভারতের অবস্থান জানালেন মোদী
  2. ইউক্রেন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সঙ্কটের মধ্যে মোদী-বাইডেন এর ভার্চুয়াল বৈঠক আজ
  3. পরশুরামে ৫শতাধিক পরিবারের মাঝে "ঢাকাস্থ'' পরশুরাম সমিতি"র ইফতার সামগ্রী বিতরণ
  4. ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য নিয়ে ২ যুবককে কুপিয়ে হত্যা এবং আহত ১
  5. ফেনীতে ভ্রাম্যমান আদলতের অভিযানে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, ২ ইউপি সদস্য সহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা
  6. ফেনীতে কোটি টাকা মুল্যের ভারতীয় শাড়ি, থান কাপড়, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গাসহ চোরাকারবারী আটক
  7. অনলাইন নিউজ পোর্টাল মুক্তির ৭১ নিউজের সম্পাদকের ৪৩তম জন্মবার্ষিকী
  8. দাগনভূঞায় প্রেমিককে জানাজায় হাজির করার অনুরোধ জানিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা
  9. সোনাগাজীতে নারীদের উত্ত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত


 


শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রুগীরা
৯ বছর ধরে মানসম্মত খাবার পাচ্ছে না


যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রুগীরা দীর্ঘ ৯ বছর ধরে মানসম্মত খাবার থেকে বঞ্চিত। ২০১২-২০২২ এতটা সময় পেরিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ২৯ শয্যা থেকে বর্তমানে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কমপ্লেক্সের ভর্তি রুগীদের জন্য খাবারের মানের কোন উন্নতি হয়নি স্বাস্থ্য। 

ভর্তি রুগীদের কাছ থেকে ৫ টাকার টিকিট অঘোষিত ভাবে ২০ টাকা নেয়া হলেও ভর্তি রুগীদের খাবারের মানের কোন উন্নতি হয়নি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে। আদালতে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নতুন ভাবে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জটিলতা সুরাহার জন্য এদিকে কোন নজর দেয়ার সময় নেই।

 ফলে ভর্তি রুগীদের খাবারের মান বাজারে সরবরাহকৃত ভোগ্যপণ্যের আর্থিক মানের তুলনায় একেবারে হচ্ছে এমনটি দাবি করেছেন ভর্তি রুগীরা। 

২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রুগীদের জন্য মানসম্মত ভোগ্যপণ্য সরবরাহের জন্য দরদাতা  করে টেন্ডার প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ। 

সকালের নাস্তায় রুগী প্রতি তৎকালিন একটি পাউরুটি যার মুল্য ছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা, চিনি যার মুল্য ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা, একটি কলা ও একটি ডিম বরাদ্দ ছিল। দরপত্রের লিখিত তালিকা অনুযায়ী দুইবার (দুপুর ও রাতের) রুগী প্রতি খাবারের বরাদ্দ ছিল ১২ টাকা মুল্যমানের ৩শ’ গ্রাম ওজনের চাউলের ভাত, ১ টাকা ৩০ পয়সা মুল্যমানের ১০ গ্রাম ওজনের ডাল, ৪২ টাকা ৪০ পয়সা মুল্যের ১১৭ দশমিক ৮০ গ্রাম রুই বা কাতলা বা মৃগেল মাছ অথবা ১৩৬ দশমিক ৭৮ গ্রাম মুরগীর মাংস অথবা ৮৮ গ্রাম খাসী ছাগলের মাংস, ১৭০ গ্রাম সব্জি অথবা আলু। 

খাবার রান্নার জন্য রুগী প্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা মুল্যের ১০ গ্রাম সোয়াবিন তেল, ৭০ পয়সা মুল্যের ২০ গ্রাম লবন, ৪০ পয়সা মুল্যের ১০ গ্রাম পিয়াজ, ৬০ পয়সা মুল্যের ৫ গ্রাম রসুন, ১ টাকা ৩০ পয়সা মুল্যের ৪ দশমিক ৬৫ গ্রাম ঝাল, ২ টাকা ২০ পয়সা মুল্যের ২ গ্রাম জিরা, ১ টাকা ১৫ পয়সা মুল্যের ৫ গ্রাম হলুদ এবং ১৬ টাকা মুল্যের ২শ’ গ্রাম কাঠ অর্থাৎ সবমিলিয়ে রুগীপ্রতি দুইবারের খরচ মোট ৮৪ টাকা ৬০ পয়সা । প্রতি সপ্তাহে সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার মুরগীর মাংস অথবা খাসির মাংস এবং অন্যান্য দিন মাছ সরবরাহের নিয়ম থাকলেও দেশী মুরগীর মাংস বা খাসির মাংস আদৌ সরবরাহ হয়না বলে জানা যায়। 

কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিটি ভোগ্যপণ্যের মুল্য দিন দিন উর্ধমুখী হওয়ায় নয় বছর আগের ভোগ্যপণ্যের মুল্যমানে বর্তমান বাজারের ভোগ্যপণ্য ক্রয় করা কতটুকু দুঃসাধ্য তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুগী ভর্তির জন্য ৫ টাকার স্থলে এখন আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা। 

কিন্তু ভর্তি রুগীদের নি¤œমানের খাবারের পরিবর্তনের জন্য কারো কোন দৃষ্টি নেই। চিকিৎসকদের ভাষায় একজন রুগীর জন্য ওষুধের পাশাপাশি ভালো মানের খাবার শরীরের জন্য গুরুত্ব থাকলেও দীর্ঘ ৯ বছরে কেউ কোন দিন চলমান সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামায়নি বলে মনে হয়। 

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন এক ঠিকাদারের আদালতে ঠুকে দেয়া মামলার জের ধরে দীর্ঘ ৯ বছর যাবত ভর্তি রুগীদের খাবারের মানের পরিবর্তন আনা সম্ভব হচ্ছে না। আদালতের মামলা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছুই করার নেই।


আরো পড়ুন:


 


শার্শা সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের কর্মচারী ও দলিল লেখক গনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

যশোরের শার্শা সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের স্থায়ী কর্মচারী, নকল নবীশ ও দলিল লেখকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

শার্শা উপজেলার সাব-রেজিস্টার অঞ্জু দাস'র সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শার্শা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, বাঘারপাড়া উপজেলার সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সি, নওয়াপাড়া উপজেলার সাব-রেজিস্টার অজয় কমার সাহা ও ঝিকরগাছা উপজেলার সাব-রেজিস্টার নারায়ন মন্ডল।

প্রধান অতিথি নারায়ন চন্দ্র পাল তার বক্তব্যে মুসলিম ও হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের  বিস্তারিত আলোচনা করেন। জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে রেজিস্ট্রি অফিসে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ দলিল লেখকদের আন্তরিক হতে হবে বলে জানান। 

বিশেষ অতিথি শার্শা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম  নামজারিসহ ভূমি অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম ও এসংক্রান্ত বিধি-বিধান নিয়ে আলোচনায় বলেন, নামজারিসহ ভূমি অফিসের সকল কার্যক্রম এখন অনলাইনে সম্পাদন হচ্ছে। সুতরাং সেবা পেতে আসা লোকজন সহজেই ভূমি অফিসের সেবা পাচ্ছে।

 
এছাড়া বাঘারপাড়া উপজেলার সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সি বিভিন্ন প্রকার দলিলের প্রচলিত ভুল সম্পর্কে আলোচনা করেন। 

তিনঘন্টাব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শার্শা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, নকল নবীশগন ও দলিল লেখকগন উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget