Latest Post

 


সিলেট, সুনামগঞ্জে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ, 

বাংলাদেশের উত্তর পূর্বে সিলেট সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।এই দুই জেলায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসনের হিসাবে বলা হচ্ছে।বন্যার পানিতে তলিয়ে সুনামগঞ্জ শহর পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে সিলেট এবং সুনামগঞ্জের আটটি উপজেলায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।


দেশটির আরও কয়েকটি জলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সারা দেশে ১৯শে জুন থেকে শুরু হওয়া স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।ঘরবাড়ি পানির নিচে। চারপাশে অথৈই পানিতে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও উপায় নেই বলছেন স্থানীয় মানুষজন।সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার একটি ইউনিয়নের সাবেক একজন চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন বন্যার পানির কারণে পরিবারসহ তার বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, পানি নেই এমন এক ইঞ্চি জায়গা এখন মিলবে না সুনামগঞ্জ জেলায়।

"আমাদের এলাকায় প্রতিটা ঘরবাড়ি পানির নিচে। কোন কোন ঘরবাড়ির চালের ওপর দিয়ে পানি যাচ্ছে।"মানুষের একটু আশ্রয় নেয়ার জায়গাও নাই। মানুষকে দ্রুত উদ্ধার করা না হলে লাশের মিছিল দেখা যাবে," মন্তব্য মুরাদ হোসেনের।তিনি পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, গবাদিপশু, হাঁস মুরগি সব পানিতে ভেসে যাচ্ছে।সুনামগঞ্জে দু'টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করছে না।


অন্যদিকে সুনামগঞ্জ শহর পানিতে ডুবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো দেশ থেকে।

সেখানকার জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের বিষয়কে এখন তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।তিনি আরও জানিয়েছেন, "ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১২ ঘন্টাতেই সুনামগঞ্জে চার ফুট পানি বেড়ে যায়।"জেলা শহরের সব রাস্তায় পানি। কোথাও বুক সমান পানি এবং কোথাও তার চেয়েও বেশি পানি। সুনামগঞ্জের সাথে যোগাযোগের হাইওয়েগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে," বলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন।


বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেছেন, উদ্ধার করে আনা মানুষের জন্য তার কার্যালয় সহ সরকারি সব অফিস এবং বেসরকারি অনেক ভবনে দোতলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।সিলেটেও বন্যার পানি হু হু করে বাড়ছেজেলা শহরটিতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে পানি চলে আসায় ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।

সিলেট শহর থেকে একজন সমাজকর্মী শাহ শাহেদা বেলা বলেছেন, আকস্মিক বন্যা এবং তার ভয়াবহতায় তাদের জীবনযাত্রা থমকে গেছে।সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে পাঁচ সন্তান এবং দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে বন্যার পানিতে আটকে পড়েছেন সালমা বেগম।


কয়েকদিন ধরে খাবার না থাকলেও তিনি এখন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারবেন কিনা-সেটাই তার কাছে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, "বর্তমানে পানির মধ্যে ভাসতেছি। একেবারে ঘরের চাল পর্যন্ত পানি। এখান থেকে বাঁচতে চাই।"কোম্পানিগঞ্জ থেকে একজন সাংবাদিক মোহাম্মদ কবির জানিয়েছেন, বন্যায় যত মানুষ আটকা পড়েছে, তাদের উদ্ধারে পর্যাপ্ত নৌকা নেই। 

সেজন্য বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না।"রাস্তাঘাট সব জায়গায় এতটাই পানি যে নৌকা ছাড়া অন্য কোন উপায়ে চলাচল করা সম্ভব নয়। ফলে নিরাপদ জায়গায় যেতে না পেরে অনেক মানুষ ঘরের চালের ওপরও আশ্রয় নিয়েছে," বলেন মোহাম্মদ কবির।সুনামগঞ্জের পাঁচটি এবং সিলেটের তিনটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ছয়শো সদস্য মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন।


আরো পড়ুন:

Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

 


সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল চালক নিহত


ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরো দুজন। শুক্রবার দুপুরে জেলার পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল সড়কের গোগর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


পুলিশ ও স্হানীয়রা জানায়, দুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিলক চন্দ্র রায় (২০) ও জয় (১৯) নামে দুই মোটরসাইকেল চালক মারা যান। তিলক সদর উপজেলার পশ্চিম বেগুনবাড়ি গ্রামের অতুলের ছেলে। জয় পীরগঞ্জ উপজেলার বাশগাড়া গ্রামে জগেন দাসের পুত্র। 


আহত হন সদর উপজেলা বৌরানী বাজার গ্রামের অনিতের ছেলে আশাপূর্ণ এবং নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলা সালাকান্দা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মামুন। আহতদের দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া পথে তিলক ও জয় মারা যান। আহত অপর দুজনকে দিনাজপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামুন হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে কয়েক দিন ধরে পীরগঞ্জে অবস্থান করছিল।

রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ পীরগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মোটরসাইকেল ২টি উদ্ধার করে রাণীশংকৈল থানায় আনা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 


হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে কটুক্তির অভিযোগে পীরগঞ্জ এক যুবক আটক

হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে কটুক্তির অভিযোগে এক যুবক আটক। 

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে কটুক্তি মূলক বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগে ৫৪ ধারায়  উজ্জল চন্দ্র রায় নামে এক যুবকে আটক করে আদালতের মাধ‍্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।


বুধবার (১৫ জুন) যুবক আটকেরবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক  (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম।

স্হানীয়রা জানান, হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ চলাকালীন সময় গত ১৩ জুন পীরগঞ্জ উপজেলার  উজ্জল চন্দ্র রায়  তার জুই রায় নামক ফেসবুক আইডিতে হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি মূলক বিষয় ফেসবুকে শেয়ার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি  করলে বিষয়টি এলাকার অনেকে দেখে ফেলে। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৪ জুন উপজেলার চাপোড় বাজারে উত্তেজনা তৈরী হলে ওই যুবককে আটক করে  পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ১৫ জুন তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় ।



পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন ওই যুবককে ৫৪ ধারায় আটক করে আদালতের মাধ‍্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

 


গৃহবধূর চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ মহিলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ! 


ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারপিট ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই চেয়ারম্যান।

গতকাল বুধবার (১৬ জুন) বিকেলবেলা গৃহবধূ শহর বানু (৪৪) এমন অভিযোগ করেন উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমু সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় পীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তোভোগীর স্বামী হাছান আলী। 

নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূ শহর বানু
 হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, গত রোববার (১২জুন) রাত ১০টায় স্থানীয় ফারুক ও রুবলে সহ বেশ কয়েকজন আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তারা আমাকে বলে চেয়ারম্যান আমাকে ডাকছে। আমার নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। পরে তারা আমাকে একজনের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে হিমু চেয়ারম্যান সহ তার কয়েকজন ছেলে আমাকে মারধর করে। পরে চেয়ারম্যান হিমু নিজে আমার মাথার চুল কেটে দেয়।

এছাড়া চেয়ারম্যান আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে। এবং এই ঘটনার কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। এরপর থেকে ৩দিন তারা আমাকে ও আমার স্বামীকে বাসায় আটকিয়ে রাখেন। 



গৃহবধূর স্বামী হাছান আলী বলেন,

কোন অপরাধ ছাড়াই আমার স্ত্রীকে চেয়ারম্যান সহ তার ছেলেরা মারপিট করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম না এই সুযোগে তারা আমার স্ত্রীকে রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে। কি কারণে তারা আমার স্ত্রীকে মারপিট করলো তা আমরা জানি না। পরে আমরা বাসায় আসলে তারা আমাদের বাসা থেকে বের হতে দেয়না। বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায়।

আমার স্ত্রী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। 

এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমুর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সেই চেয়ারম্যানের বাসায় আমাদের পুলিশ গেলে তাকে পাওয়া যায়নি । বর্তমানে চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।

আরো পড়ুন:

 



সোনায় মোড়া এমিরেটস প্যালেসে থাকার খরচ কত?


সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির জনপ্রিয় পাঁচ তারকা হোটেল এমিরেটস প্যালেস। অ্যারাবিক স্টাইল, আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া আতিথেয়তা আর স্থানীয় নিজস্ব অভিজ্ঞতার জন্য বিশ্বখ্যাত এই হোটেল। দেখে নেওয়া যাক এই হোটেলের অন্দর। আর জেনে নেওয়া যাক এই হোটেল সম্পর্কে নানা তথ্য।

এই হোটেলের নির্মাণকাজে পাঁচ বছর ধরে আবুধাবি সরকারের খরচ হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৮ হাজার ২৯৫ কোটি টাকাএই হোটেলের মূল মালিক আবুধাবি সরকার। ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয় এই হোটেলের পরিকল্পনা। ২০০৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেলটি কেমপিনস্কি হসপিটালিটি কোম্পানির দায়িত্বে ছিল

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি মান্দারিয়ান ওরিয়েন্টালের হোটেল গ্রুপের তত্ত্বাবধানে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মান্দারিয়ান নিজেদের বেতন রেখে বাকি অর্থ আবুধাবি সরকারের তহবিলে জমা করেহোটেলটির মূল ভবন ১ কিলোমিটার লম্বা। ১০০ হেক্টর জায়গাজুড়ে রয়েছে এই হোটেলের বাগানএই হোটেলের ডিজাইন করেছে মার্কিন স্থপতি জর্জ উইম্বারলির বিশ্বখ্যাত ফার্ম ডাব্লিউএটিজি আর্কিটেক্টস। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই কোম্পানির অফিস আছে। এমিরেটস হোটেলের ডিজাইনে সমতা, ভূগোল, অনুপাত, ছন্দ—এসব ক্ষেত্রে ইসলামি স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করা হয়েছে। মাঝখানের গম্বুজে নানান জ্যামিতিক নকশা ফুটে উঠেছে। এ ছাড়া ভবনজুড়ে রয়েছে ১১৪টি মাঝারি ও ছোট আকৃতির গম্বুজএই হোটেলে রয়েছে ৩৯৪টি থাকার ঘর। 

এর ভেতর ৯২টি সুইট ও ২২টি রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট। এসব স্যুইট তৈরিতে মার্বেলের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে সোনা। ভবনের মাঝখানে যে বিশাল গম্বুজ রয়েছে, সেটিও মার্বেল আর স্বর্ণ দিয়ে তৈরিহোটেল তৈরিতে ব্যবহৃত সোনা ‘স্বর্ণপাত’ আকারে ইতালি থেকে আনা হয়েছে। তারপর সেগুলো প্রসেস করে আরও সুন্দর আর ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে

আরো পড়ুন:

 


ফিরতি রেলে পণ্য রপ্তানি করার সুযোগ

ভারতের শুল্ক দপ্তর এ ধরনের একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে বলে বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর খবরে বলা হয়েছে।

তবে কীভাবে এবং কবে থেকে এই রপ্তানির সুযোগ শুরু হবে, তা এখনও সুনির্দিষ্ট হয়নি।বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রেলপথ ব্যবহার করে ভারতে পণ্য রপ্তানির সুযোগ পেলে তা তাদের জন্য অনেক সুবিধা করে দেবে।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতি বছর ৬০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হলেও রেলপথ ব্যবহার করে শুধুমাত্র ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসে। বাংলাদেশে থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি হয় শুধুমাত্র সড়কপথে।

রেলপথে পণ্য রপ্তানি

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ হয়নি।তখন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে রেলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে পণ্য ও কাঁচামাল রপ্তানি করা হতো।

কারণ রেলপথ ব্যবহার করে লোকবল কম ব্যবহার করতে হয়, সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যায়।কিন্তু বাংলাদেশে পণ্য খালাসের পর কন্টেইনারগুলো খালি অবস্থায় ফেরত চলে যায়।সেই সময় থেকে ভারতের মতো বাংলাদেশ থেকেও রেলপথ ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানির আলোচনা শুরু হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকেও এরকম প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

এই বছরের জানুয়ারি মাসে দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে যে বৈঠক হয়, সেখানে ভারতের মতো বাংলাদেশ থেকেও রেল ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানির প্রস্তাব করা হয় বাংলাদেশের তরফ থেকে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''গত কমার্স সেক্রেটারি লেভেলের মিটিংয়ে, বাংলাদেশ একটি বিষয় এজেন্ডভুক্ত করে আলোচনা করেছে যাতে বাংলাদেশে এক্সপোর্টের পণ্য ইন্ডিয়ান ফিরতি রেলওয়ে কন্টেইনারে করে যেতে পারে। ইন্ডিয়া তাতে ওয়েলকাম জানায় এবং বলেছে, তারা একটি মডালিটি (পদ্ধতি) তৈরি করে বাংলাদেশকে জানাবে। ''

দুই হাজার কুড়ি সালের জুলাই মাস থেকে বেনাপোল-পেট্রোপোল দিয়ে কন্টেইনার রেল সার্ভিস শুরু করে ভারতের রেল বিভাগ।কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের কন্টেইনার স্বল্পতার কারণে ভারতের মতো বাংলাদেশ থেকে সেদেশে কন্টেইনারে পণ্য পাঠানো যায়নি।মার্চ মাসে নয়াদিল্লিতে ওই বৈঠকের আগে বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছিলেন, ভারতের খালি যাওয়া কন্টেইনারগুলোয় বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু এজন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।

অনুমোদন ছাড়া সহজেই যাতে খালি কন্টেইনারে ভারতে পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেজন্য প্রস্তাব করবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোন চিঠি তারা পাননি।

তবে ভারতের শুল্ক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে গত ১৭ই মে একটি আদেশ জারি করেছে ভারতের শুল্ক কর্তৃপক্ষ।

সেখানে বলা হয়েছে, ভারতের ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে রেলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।এছাড়া ভারতের রপ্তানি করা ফিরতি কন্টেইনার ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানির অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

ভারত থেকে রেলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি করার পর কন্টেইনারগুলো আবার খালি অবস্থায় ভারতে ফেরত যায়।এখন সেসব কন্টেইনারে করে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি করার সুযোগের অনুরোধ করেছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।

আরো পড়ুন:


 


রাণীশংকৈলে শোবার ঘর থেকে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার 


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মেহেদী হাসান (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত  মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১২ জুন) রাতে পৌর শহরের আশা এনজিও অফিসের ভাড়া বাড়ির শোবার ঘর থেকে স্কুলছাত্রের সেই ঝুলন্ত মরদেহ  উদ্ধার করা হয়।

মৃত স্কুলছাত্র মেহেদী হাসানের ঝুলন্ত  মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন 

রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক  ওসি এস এম জাহিদ ইকবাল। 

মৃত মেহেদী হাসান রাণীশংকৈল কেন্দ্রীয় হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে রাউতনগর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।



সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে ওই ভাড়া বাড়িতে ছোট ভাই মেহেদী হাসান ও বড় ভাই তারেক হাসানের মধ্যে ১০০ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মেহেদী তার শোবার ঘরে চলে যায়। মা মাজেদা বেগম, তারেক ও অন্যরা অন্য ঘরে টিভি দেখছিলেন। ঘণ্টাখানেক পরে মেহেদীকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে তার ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। ওই ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রাত ১২টার দিকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে থানার ওসি সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে এসে ওই ঘরের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মেহেদীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

থানা পরিদর্শক (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, ‌‌‘এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। লাশ দাফনের জন্য এডিএম'র অনুমতি সাপেক্ষে স্কুলছাত্রের মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফনের ব্যবস্হা করা হয়। ।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget