Latest Post

 


বালিয়াডাঙ্গীতে মরা গরুর মাংস বিক্রির দায়ে ২ কসাইয়ের কারাদণ্ড 


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মরা ব্রয়লার মুরগি ও মরা ছাগলের মাংস বিক্রির ঘটনার ১ মাস যেতে না যেতেই এবার মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির সময় দুজনকে আটক করে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

রবিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও বালিয়াডাঙ্গী ইউএনও যোবায়ের হোসেন 

এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের শাহাপাড়া গ্রামের সলিম উদ্দীনের ছেলে রমজান আলী (৪৬) ও বিশ্রামপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে পয়জার আলী (৪০)।


সহযোগী স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল গফুর জানান, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মটরা হাট থেকে একটি মরা গরু জবাই করার পর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের কাঁচকালী বাজারে ইজিবাইকে নিয়ে এসে গভীর রাতে কেটে মাংস বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয়রা ইউএনওকে মুঠোফোনে অবগত করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশসহ ইউএনও দুজনকে আটক করলেও মোস্তফা নামে একজন পালিয়ে যায়। তিনিই ওই গরুর মালিক ছিলেন বলে জানা গেছে।  

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক যোবায়ের হোসেন জানান, জবাই করা পর গরুটি ইজিবাইকে নিয়ে এসে মাংস বিক্রির জন্য চেষ্টাকালে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় দুজনকে আটক করা হয়। পরে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করলে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, আজ সোমবার (৬ জুন) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন কসাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


এর আগেও গত ২০ মে মরা ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রির দায়ের নজরুল ইসলাম (৪৮) ওরফে ইদু নামে এক কসাই জেলে পাঠানো হয় এবং গত ১০ মে মরা মুরগির মাংস রান্না করে বিক্রি ও বিক্রির দায়ে হোটেল মালিক সেলিম উদ্দীনকে ৫ হাজার টাকা ও মাংস বিক্রেতা আব্দুলকে ১০ হাজার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।


আরো পড়ুন:



ভ্যান চালকের মেয়ে কাকলী ফুটবল প্রশিক্ষণে যাচ্ছে পর্তুগাল! 


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙাটুঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড় কাকলী আক্তার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তিন মাস উন্নত ফুটবল প্রশিক্ষণের জন্য পর্তুগাল যাচ্ছেন কাকলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তাজুল ইসলাম।

রাণীশংকৈল উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কাশেম ও বানেসার মেয়ে কাকলী আক্তার (১৬)। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট কাকলী। নিজস্ব বসতভিটা ছাড়া আবাদি কোনো জমি নেই কাকলীদের। ঋণের টাকায় একটি ভ্যান কেনেন তার বাবা। সেই ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে ভরণপোষণ। সামান্য আয় দিয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব ছিলনা বলে অভাব অনটন লেগেই থাকতো সংসারে। কষ্ট করে সংসার চালিয়ে নিতেন কাকলীর মা বানেসা। দিন আনে দিন খায়, এমন পরিবারে অভাবের সাথে অশান্তি যোগ হয় যখন কাকলীর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে বসেন। সে মুহূর্তে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে পরিবারটির ওপর। অভাবের সাথে অশান্তি যোগ হয়ে পরিবারের পরিবেশ বিষময় হয়ে ওঠে কাকলীর কাছে। এ অবস্থায় সংসারের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন কাকলীর মা বানেসা বেগম। তিনি নিজের কাছে জমানো কিছু টাকা দিয়ে শুরু করেন চা বিক্রি। রাস্তার ধারে ছোট একটি দোকানে চা বিক্রি করেই পরিবার ও কাকলীর খরচের জোগান দিয়েছেন তিনি।

কয়েক বছর পর কাকলীর বাবা নিজ ভুল বুঝতে পেরে দ্বিতীয় সংসার ছেড়ে আবার ফিরে আসেন তাদের কাছে। পরে সব মেনে নিয়ে নতুন করে আবার সংসার চলা শুরু হয় তাদের। বর্তমানে অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ বাবা চালান ভ্যান আর মা করছেন চা বিক্রি। তবে মেয়ের ভিনদেশে যাওয়ার কথা যেন সব কষ্ট ভুলিয়ে রেখেছে তাদের।

কাকলীর মা বানেসা বলেন, ‘মোর বেটি ফুটবল খেলে। তাতে নানান জনে নানা ধরনের খারাপ কথা কহে। খারাপ লাগিলে কান্নাকাটি করেছে ফের খেলিবা যাছে’। তিনি আরো বলেন “হামার থাকিবার জায়গা ছাড়া আর কিছু নাই। স্বামী ভ্যান চালায় আর মুই চা বিক্রি করু। এখন হামার বেটি বিদেশত যাছে, এইডা খুবে ভালো লাগেছে। সবাই মোর বেটির তানে দোয়া করিবেন”।


কাকলীর বাবা আবুল কাশেম বলেন, ‘আমি দিনমজুরি করে সংসার চালাতাম। পরে একটা ভ্যান চালানো শুরু করি। এখনো ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। আর কাকলীর মা চা বিক্রি করে। আমি বয়সের কারণে নানা রোগে ভুগছি। পায়ের সমস্যা লেগেই আছে। মেয়েটা বিদেশে যাচ্ছে প্রশিক্ষণে, এটি আমার কাছে অনেক আনন্দের।
যেখানে যাই সেখানকার লোকজন খোঁজখবর নেয়। চা খাওয়ায় আর কাকলীর গল্প করে। তখন বুকটা আনন্দে ভরে উঠে। আমার মেয়ের জন্য সকলে দোয়া রাখবেন।’


কাকলী আক্তার বলেন, ‘স্কুল পর্যায়ে যে বঙ্গমাতা ফুটবল খেলাগুলো হতো, সেখান থেকেই আমার শুরু। পরে আমার এক স্যার বললেন, আমি ফুটবলার হবো কি না। আমি বলেছিলাম, যদি ভালো সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে হব। পরে তিনি আমাকে রাঙাটুঙ্গিতে যোগাযোগ করিয়ে দেন। আমি বাবা-মাকে বিষয়টি বলি। তারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং ফুটবল কিনে দিয়েছেন। এখন দেশের বাইরে যাচ্ছি আরও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য। এটি আসলে অনেক বড় আনন্দের খবর আমার কাছে। তবে এ আনন্দের পেছনে অনেক পরিশ্রম রয়েছে।


মেয়ে মানুষের কিসের ফুটবল খেলা। তাও আবার ছোট প্যান্ট আর গেন্জি পরিয়া। লাজ লজ্জা সব উঠে গেল। এইরকম নানা জনের নানা কটু কথা প্রতিনিয়ত শুনার লাগতো।’ সঙ্গে আড় চোখে মানুষের তাকানো, আড়ালের কটু কথা। ‘কেউ কেউ আবার মুখের সামনেই-কি দরকার মেয়ে হয়ে ফুটবল খেলার’ -এভাবে বলে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দিত। মানুষের যেন নিত্য দিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এটি। তবে থেমে থাকেনি আমি। মানুষের কটু কথা থামাতে পারেনি আমার সফলতার পথচলা
মেয়ে হিসেবে ফুটবল খেলতে এসে নানা ধরনের কটু কথা শুনতে হয়েছে।’


কিছুদিন আগেও যারা কটু কথা বলতো এখন তাদের কথার ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। যারা বলেছিল তারাই এখন নিজের সন্তানদের মেয়ে ফুটবলার বানানোর স্বপ্ন দেখছেন। একসময় যারা অপমান করতো তারা এখন আসেন পরামর্শ নেওয়ার জন্য। কিভাবে আমার মত তাদের মেয়েও ফুটবলার হতে পারে।


এ প্রসঙ্গে রাঙাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১১ জন ছেলে
ব্রাজিলে ও ১১ জন মেয়ে পর্তুগালে ফুটবল প্রশিক্ষণের জন্য যাচ্ছে। সেরা এগারোর মধ্যে আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে একজন নির্বাচিত হয়েছেন। সে রাণীশংকৈল
রাঙাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়। কাকলী নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে। তার বাবা বৃদ্ধ মানুষ, ভ্যান চালান। কিন্তু এ বয়সে ঠিকমতো চালাতে পারেন না। ভ্যানই একমাত্র আয়ের উৎস তাদের। আর তার মা চা বিক্রি করেন।

একজন কাকলী, যে একটি হতদরিদ্র পরিবারে সংঘাতময় পরিবেশে বেড়ে উঠেও নিজ লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন। তার দৃঢ় মনোবোল, ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, আর আত্মবিশ্বাস অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সহায়তা করেছে। কাকলী প্রান্তিক মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আগামী দিনগুলোতে।

এমন খুশির খবর শুনে রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘আমার পৌরসভার এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান কাকলী।
তার মা চা বিক্রি করে তাদের সংসারের খরচ চালিয়েছে। আজ সে ফুটবলের উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য পর্তুগাল যাচ্ছে, বিষয়টি আমাদের পৌরসভার জন্য খুবই খুশির সংবাদ।


আরো পড়ুন:


 


সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পেছনে ‘কিছু একটা ঘটেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন,‘নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে, এটা আমার বিশ্বাস। না হলে এতগুলো প্রাণ যায় না।’


আজ মঙ্গলবার পুরান ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে অগ্নিনির্বাপককর্মী শাকিল তরফদারের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


কীভাবে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কার গাফিলতি , স্যাবোট্যাজ বা উদ্দেশ্যমূলক কি না জানতে এনকোয়ারি করতে হবে।’


এই দুর্ঘটনার পেছনে ‘পাওয়ারফুল’ কেউ থাকলে শাস্তি হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পাল্টা প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনোদিন কাউকে ছাড় দিয়েছেন? যারই সংশ্লিষ্টতা থাকুক শাস্তি পেতে হবে।’ 


সীতাকুণ্ডে এতজন অগ্নিনির্বাপক কর্মীর প্রাণহানির পর ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন, আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করেন কি না এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘এখনকার ফায়ার সার্ভিস আগের মতো নয়। এখন তারা আর ঘন্টিবাজানো বাহিনী নয়, একটি অত্যাধুনিক বাহিনী। আগে আগুন নেভার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে হাজির হতো। এই বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে সরকার। সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও কাজ চলছে।’


ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপকবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অকুতোভয় বলেন তিনি। সিলেটে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান ও এফ আর টাওয়ারে ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাঁরা জীবনের পরোয়া করেন না, ডাক আসলে এক মুহূর্ত দেরি করেন না।’

গত শনিবার রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার ৬১ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম। 

এই অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

এর আগে কলকারখানায় আগুন লাগলেও এবারই প্রথম ফায়ার সার্ভিসের এত কর্মীর প্রাণহানি ঘটল। এখন পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাহিনীটি।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন তিনজন। তা ছাড়া মুমূর্ষু অবস্থায় আরও দুজন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

 



রাণীশংকৈলে যায়যায়দিনের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বনামধন্য ও বহুল প্রচারিত দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 

অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে

সোমবার বেলা ১১টার দিকে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের আয়োজনে ডিগ্রী কলেজ রোড যায়যায়দিন কার্যালয়ে বর্ষপূর্তির কেক কাটা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

আয়োজিত এ আলোচনা সভায় উপজেলা  আ.লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও কেক কেটে 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত করা হয়।

এসময় যায়যায়দিন পত্রিকার রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি স্বাগত বক্তব্য রাখেন। 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সাংসদ অধ্যাপক ইয়াশিন আলী, গেষ্ট অব অনার ৩০১ সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ সেলিনা জাহান লিটা।


বিশেষ অতিথি ক্রীড়াবিদ সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক , সহকারী শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি এমএএস রবিউল ইসলাম সবুজ, উপজেলা আ.লীগ যুগ্ম সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব।

ভোরের কাগজ প্রতিনিধি মোবারক আলী’র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন আকাশ, সিনিয়র সাংবাদিক উত্তরা প্রতিনিধি নুরুল হক, উত্তর বাংলা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান বাকি।

সেসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাব সাবেক সাধারন সম্পাদক  করতোয়া প্রতিনিধি মোঃ বিপ্লব, সহকারী অধ্যাপক সামসদ আলী সামসুদ্দিন, প্রভাষক প্রশান্ত বসাক, নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জীবন, আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি খুরশিদ আলম শাওন প্রমুখ। 


আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

 



সীতাকুণ্ডে ডিপো বিস্ফোরণে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন পার্কভিউ হসপিটাল 

চট্টগ্রামে করোনার দুঃসময়ে দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে প্রথম থেকেই নগরীর পার্কভিউ হসপিতাল চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সরবরাহ করে চট্টগ্রামে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। ঠিক গত শনিবার ঘটে যাওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ ট্রাজেডিতে নিহত ও অগ্নিদগ্ধ আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে নগরীর হাসপাতাল গুলোতে যখন ডাক্তারেরা হিমশিম খাচ্ছেন। ঠিক সেই সংকট মুহুর্তে অসহায় আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সবার আগে এগিয়ে এসেছে পার্কভিউ হাসপাতাল।


বিস্ফোরণের দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের জন্য হাসপাতাল উন্মুক্ত করে দেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম।

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এই পর্যন্ত পার্কভিউ হাসপাতালে ৫৮ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছেন। তৎমধ্যে ৪১ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। গুরুতর আহত ১৭ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে মহিউদ্দিন (২২) নামের একজনের লাশ আনা হয়েছে। পরে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ০৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।


পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে কনসালটেন্ট ডা. জিয়াউল কাদের, কনসালটেন্ট ডা. মো. মামুন, কনসালটেন্ট ডা. সগীর, কনসালটেন্ট ডা. ইসমাইল, কনসালটেন্ট ডা. আহমেদ রহিম, ইমার্জেন্সি ডিউটি ডাক্তার ও ফ্লোর ডিউটি ডাক্তারের সম্মিলিত টিম শনিবার রাত থেকে রোববার ভোররাত পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন। এখনো পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান আছে।

কিভাবে রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ বলেন, ‘আমরা নিজেদের থেকেই এই ব্যয় বহন করছি। এমনকি ওষুধও আমরা দিচ্ছি। রোগীদের স্বজনরা বলছে এই ব্যয় বিএম ডিপোর পক্ষ থেকে বহন করা হবে। আমরা আপাতত হিসেব রাখছি। এগুলো পরে দেখা যাবে।’

এদিকে গতকাল ৪ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধ মুমূর্ষু রোগীদের খোঁজ নিতে আসেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এবং চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী ও 

সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম এমপি ভর্তি রোগীদের দেখতে আসেন ও খোঁজ খবর নিতে পার্কভিউ হসপিটালে আসেন।

পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম বলেন, বিপদে বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেক মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। আমি একজন ডাক্তার হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের সবার উচিত মানবিক হওয়া। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। 

প্রসঙ্গত, এর আগে করোনার দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন চট্টগ্রামের এ পার্কভিউ হসপিটাল ও মানবিক ডা. এটিএম রেজাউল করিম। 

উল্লেখ্য, গত (৪ জুন) শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন মারা যান।


আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

 



সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৪০, আহত তিন শতাধিক


সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের পরই ডিপোতে থাকা আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনারে আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণে কম্পনের আওয়াজ এতটাই তীব্র ছিলো যে, আশেপাশের এলাকার অধিকাংশ বিল্ডিয়ের কাঁচের গ্লাস ভেঙে যায়। এই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীসহ ৪০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিন শতাধিক। 

সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে এই ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সাথে সাথে কনটেইনারে আগুন ধরে যায়। ডিপোতে থাকা রাসায়নিক পদার্থবাহী কনটেইনার থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। 



জানা যায়, আগুন একটা কনটেইনার থেকে আরেকটাতে ছড়িয়ে পড়ছে।আর এতে মালবোঝাই এইসব কনটেইনারে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে। বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠছে আশেপাশের এলাকা। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫ টা ইউনিট কাজ করছে।



আতঙ্কে এলাকাবাসী এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছেন। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশকয়েক জন কর্মী দগ্ধ হয়েছেন। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল মানবজমিনকে বলেন, ওই কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক পদার্থ ছিলো। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। 

এই পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরো অনেক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে,  (৫ জুন) ভোরে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। সবমিলিয়ে বর্তমানে ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। তবে সকাল সাড়ে ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।




আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget