Latest Post







বঙ্গবন্ধুকন্যা শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, চাকুরিও দিয়েছেন -তথ্যমন্ত্রী এম. মতিন




তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের জন্য যা করেছে, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি।

শনিবার (৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিটিশ শাসন ভেঙে পাকিস্তান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠা হয়নি। জামায়াত ইসলামীকে সাথে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলো, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নানকে ধর্মমন্ত্রী বানালেন কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারই ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো।




ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবি বহু বছরের পুরনো। বেগম খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনো এই দাবি ছিল। উনি আলেম-ওলামাদের নিয়ে ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান মাওলানা আহমদ শফী সাহেব আলেম-ওলামাদের নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন যেনো কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেন।

মন্ত্রী বলেন, অনেকে ভেবেছেন আমাদের নেত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বাস্তবায়ন হবেনা। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। স্বীকৃতি দেওয়ার পর অনেকে বলেছেন স্বীকৃতি দিয়েছেন কিন্তু চাকুরী হবেনা, চাকুরী পেলে বেতন পাবেননা। কিন্তু আমাদের নেত্রী শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকুরিও দিয়েছেন, তারা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন। এটি কল্পনার বাইরেও ছিলো।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'আজকে সারাদেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে, রাঙ্গুনিয়াতেও দুই শতাধিক মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রতিটি মক্তবের আলেম ৫২’শ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এটি আলেম সমাজ কখনো ভাবেনি। দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিটিতে দু’জন করে শিক্ষক ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব গিয়ে আগের মতো ঘন্টার পর ঘন্টা থাকতে হচ্ছেনা।'




আলেমদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি। ব্রিটিশ আমলে দেশ বিভক্ত হয়েছিল মুসলমানদের জন্য একটি দেশ, হিন্দুদের জন্য আরেকটি দেশ। সেই পাকিস্তান আমলেও জেলা-উপজেলায় সরকারিভাবে কোন মসজিদ হয়নি।

'জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামের জন্য এবং আলেম ওলামাদের জন্য যে কাজগুলো করেছে, আলেমরা অন্যদের কাছে তা দয়া করে বলবেন- এই ফরিয়াদ রইলো' নিবেদন করে তথ্যমন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় ইসলামের খেদমতে কাজের বিবরণ দেন।

ড,. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ইসলাম এবং আলেম-ওলামাদের খেদমত করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন ও আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশটিরও বেশি নতুন মসজিদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও হেফজখানায় সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তাও পৌঁছানো হয়েছে। 

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী দরবার-এ-আস্তানা শরীফের পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মেহেরিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী।

এছাড়াও মতবিনিময় সভায় অন্যন্যাদের বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও আতাউল গণি ওসমানি, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া নূরুল উলুম কামিল মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা নজমুল হক নঈমী, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. মাওলানা আবদুল মাবুদ, আলমশাহপাড়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাণীর হাট আল আমিন হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম আল কাদেরী, খন্ডলিয়াপাড়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মো. সুলতান, কোদালা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল কাদের, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাওলানা সৈয়দ আইয়ুব নুরী, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।


আরো পড়ুন:



 




বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল শিশুসহ ৯ বাংলাদেশি নারী


বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে শিশুসহ ৯ বাংলাদেশি নারী । ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

ফেরত আসা নারীরা হলেন- খুসনা আক্তার, দিলরুবা খাতুন, বিজলী দাস, খুরশিদা খাইবার, চমপা মেনজাম, সোনিয়া আক্তার, রুহান আক্তার, সুমি শেখ, জেসমিন আক্তার। এদের বাড়ি দেশের হবিগঞ্জ, জয়পুরহাট, যশোর, খুলনা, তেরোখাদা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

সোনিয়া আক্তার বলেন, সংসারে অভাব অনটনের কারনে আয় রোজগারের আসায় দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পথে ভারতের মুম্বাইয়ে যায়। পরে সেখানে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশে অবৈধভাবে বসবাস করার কারনে পুলিশ তাদের আটক করে জেলা হাজতে পাঠায়। সেখান থেকে নবজীবন নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে শেল্টার হোমে রাখে। দীর্ঘদিন পর আজ দেশে ফিরলাম।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহম্মেদ বলেন, ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার তাদের গ্রহন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।

যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরো পড়ুন:


 





যাত্রী হয়রানি বন্ধে দীর্ঘদিন পর দালালমুক্ত হলো বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন 


 দীর্ঘদিন পর হলেও দালালমুক্ত করা হলো বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস ও পুলিশ ইমিগ্রেশন। চলতি বছরের শুরু থেকেই বহিরাগতদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি বন্ধে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে পাসপোর্টযাত্রী ছাড়া কোন ব্যাক্তিকে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

 

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া যোগদানের পরপরই সাহসী পদক্ষেপের কারণে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করতে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিন ও সিসি ক্যামেরা। সশস্ত্র আনসার দিয়ে জোরদার করা হয়েছে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টার্মিনালের প্রধান ফটকে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী, আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখায় প্রবেশ করতে পারছে না স্থানীয় পাসপোর্ট দালালেরা। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের সেবার মান বৃদ্ধি করায় যাত্রীরা দ্রæত ও সুশৃঙ্খল ভাবে নিজেরাই সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন।


যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। করোনা সংক্রমন কমে আসায় যাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করেছে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১০ জন পাসপোর্টযাত্রী। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ৭৭ হাজার ৩২০ জন। আর ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ৬৩ হাজার ৮৯০ জন পাসপোর্ট যাত্রী।

 

কাস্টমস সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্টে এক শ্রেণীর লোক দূরদূরান্ত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীদের নানা ভাবে হয়রানি করে আসছিল। সিরিয়াল ছাড়া তাদের পাসপোর্ট দ্রæত করে দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল ঐ চক্রটি। পাসপোর্ট যাত্রীদের পক্ষ থেকে কাস্টমসে অভিযোগ করলে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়। যাত্রীদের সেবার মান উন্নত করতে চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বহিরাগত দালাল উৎখাতে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে টার্মিনাল এলাকায় বহিরাগত কোনো দালাল ঢুকতে না পারে সে জন্য প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।


এদিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে (বর্ডার কার্গো জিরো পয়েন্টে) বহিরাগত অনুপ্রবেশ বন্ধ ও পাসপোর্টযাত্রীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে গত ৩১ মে চেকপোস্ট প্যাসেজ্ঞার টার্মিনাল সম্মেলন কক্ষে বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া, উপ-কমিশনার অনুপম চাকমা, এইচ এম আহসানুল কবির, আবদুল কাইয়ুম, বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল, উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার, পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া, চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজুসহ বিজিবি, এনএসআই ও ডিজিএফআই কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান বলেন, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এলাকায় বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। পোর্টের লেবাররা তাদের সীমানার মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজ বহন করতে পারবে। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এলাকায় যাত্রীরা নিজেরাই ট্রলি ব্যবহার করে যাতায়াত করবেন। লেবাররা যাতে পাসপোর্টযাত্রীদের হয়রানি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হবে। চেকপোস্টে একটি যাত্রী হেলপ ডেস্ক স্থাপন করা হবে। যাতে যাত্রীরা তাদের যাতায়াতে সর্বত্র সেবা পাবেন। সেই সাথে খাবার ও সুপিয় পানি ও পর্যাপ্ত ট্রলির ব্যবস্থা করা হবে। সেই সাথে অসুস্থ ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা যাতায়াতে পাবেন হুইল চেয়ার। 


বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি মোহাম্মাদ রাজু জানান, বর্তমানে প্রতিটি যাত্রীকে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে তাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে। যাত্রী সেবা বাড়াতে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ইতিমধ্যে কাউন্টার বৃদ্ধি করা হয়েছে। আানসার ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাউন্টারে সেবা দেওয়া হচ্ছে।


বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, করোনা সংক্রমন কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে যাত্রী পারাপার। প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে। চেকপোস্টে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে বহিরাগতসহ সকল অবৈধ অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন করতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বর্তমানে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া নিরাপদে যাত্রীরা ভারত গমনাগমন করছেন। কোন ধরনের হুমকী ধামকি দিয়ে কাস্টমস এ দালাল প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। ঝামেলামুক্ত ভাবে যাত্রীরা যাতে ভারত যাতায়াত করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাসপোর্ট যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য কাস্টসসের পক্ষ থেকে প্রায় ২০০ ট্রলি দেওয়া হয়েছে।



আরো পড়ুন:


 



যশোরে ১৩ কোটি টাকা মূল্যের ১৬ কেজি স্বর্ণেরবারসহ ৬ পাচারকারী আটক 


যশোরে ১৩ কোটি টাকা মূল্যের ১৬ কেজি স্বর্ণেরবারসহ ৬ পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। বুধবার ভোর রাতে যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় ৩টি প্রাইভেট কার তল্লাশী করে স্বর্ণেরবারগুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় প্রাইভেটকার ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার দুর্গাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, পুটখালী গ্রামের নাজমুল হোসেন, চাঁদপুরের ঘাগড়া গ্রামের আরিফ মিয়াজী, কুমিল্লার নৈয়ার গ্রামের শাহজালাল, মাদারীপুরের বলশা গ্রামের আবু হায়াত জনি ও নারায়নগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের মিঝিমিঝি গ্রামের রবিউল ইসলাম রাব্বি।

বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে যশোর-৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ জানান, পাচারকারীরা প্রাইভেট কারে অভিনব পদ্ধতিতে ১৫ কেজি ৮শ' গ্রাম স্বর্ণ লুকায়িত অবস্থায় ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে বেনাপোলে যাচ্ছিল। 

ভোর রাতে যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা বেনাপোল পুটখালি এলাকার নাসিরের লোক। পরে নির্বাহী মাজিস্ট্রেট আবু নাসেরের উপস্থিতিতে প্রাইভেটকার তল্লাশি করে স্বর্ণেরবার উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণেরবার ও আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 



এক যুগ ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা


ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে কলেজ পরিচালনার এক যুগ (১২ বছর) পূর্তি হলেও এখন পযর্ন্ত পূর্নাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়নি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমেই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক,স্নাতক, অর্নাসের অর্ধ শতাধিক শিক্ষকসহ বেশ কিছু কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্যর অভিযোগ রয়েছে উপজেলার সচেতনমহলসহ সাধারণ মানুষের মাঝে। 




জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নীতিমালায় বলা রয়েছে, কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য হইলে,অধ্যক্ষের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে উপাধ্যক্ষ, জেষ্ঠ্যতম ০৫ (পাঁচ) জন শিক্ষকের মধ্য হইতে যেকোন একজনকে দায়িত্ব প্রদান করিতে হইবে এবং সেই সঙ্গে পরবর্তী ০৬(ছয়) মাসের মধ্যে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে হইবে।

যুক্তিসঙ্গত কারন ছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের এক বৎসরের মধ্যে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ দান করিতে ব্যর্থ হইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্র ও কার্য্যবিবরনী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত অথবা গৃহীত হইবেনা বলে বিধান রয়েছে।

অথচ  রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে এ যাবত সিনিয়র কয়েকজন অধ্যাপক চাকুরী থেকেই অবসরে চলে গেছেন। 




সর্বশেষ ২০২০ সালের ২ নভেম্বর রাস্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষেরও গত সোমবার (৩০মে) চাকুরীর শেষ কর্মদিবস বলে নিশ্চিত করেছেন উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন। 

তবুও ভারপ্রাপ্ত থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগের তেমন কোন উদ্যোগ নেইনি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।

কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন বিবরণী বোর্ড ঘেটে দেখা যায়, গত ১৯৭৯ সাল থেকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের চাকরীর মেয়াদ গত ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়ে তিনি বিদায় নেন তিনি। তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্বান্ত অনুযায়ী ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ওবায়দুল হককে গত ২০১০ সালের ১ নভেম্বরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়ায়দুল হকের চাকুরীও গত ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর শেষ হয়ে গেলে তিনিও প্রায় ২ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বরত অবস্থায় চাকুরী থেকে বিদায় নেন।

পরবর্তীতে আবারো কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্বান্ত মোতাবেক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তাজুল ইসলামকে গত ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনিও প্রায় ৮ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের পর গত ২০২০ সালের ০১নভেম্বর চাকুরী থেকে অবসর গিয়ে বিদায় নেন।


সর্বশেষ রাষ্ট বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হক’কে গত ২০২০ সালের ২নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয় কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। তার চাকুরীর মেয়াদ চলতি বছরের ৩০মে পযর্ন্ত ছিলো।




নিয়মনুযায়ী গত সোমবার শেষ কর্মদিবস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের। তবে তার অবসর হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নতুন কোন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার কোন প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়নি।

কলেজের উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন এ প্রতিবেদককে জানান, অবসরে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আপাতত দুই বছর তাকেই দায়িত্ব রাখার সিদ্বান্ত নিয়েছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।


স্থানীয়দের প্রশ্ন সরকারী বিধিমালাকে উপেক্ষা করে ৬ মাস মেয়াদী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে ১ যুগ কলেজ পরিচালনা করা হলো। আর কতদিন এভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে কলেজ পরিচালনা করা হবে?

অভিযোগ রয়েছে যেদিন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে কলেজ পরিচালনা করা হচ্ছে সেদিন থেকে কলেজে শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য সহ অর্থনৈতিক অনিয়ম শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ নেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম করা হচ্ছে।

রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন মুঠোফোনে জানান, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের নিয়মিত চাকুরীর শেষ কর্ম দিবস গত সোমবার ছিলো। তবে কলেজ পরিচালনার জন্য তাকেই আবারো দুই বছরের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।


রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের গর্ভনিং বোর্ডের সভাপতি পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের চাকুরী শেষ হলেও গর্ভনিং বোর্ডের সিদ্বান্ত অনুযায়ী তাকে আবারো দুই বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


আরো পড়ুন:


  1. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল পরিবারের পাঁচজনের


রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় ট্রাক, ইজিবাইক ও প্রাইভেট কারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পাঁচজন একই পরিবারের। ইজিবাইকে করে কারাবন্দী স্বজনকে দেখতে যাওয়ার পথে আজ বুধবার সকালে দুর্ঘটনায় তাঁরা নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইজিবাইকের চালকও।

নিহত ছয়জন হলেন কালুখালীর মুচিদাহ বনগ্রামের মোতালেব হোসেন মণ্ডলের স্ত্রী মশিরন বেগম (৬৫), তাঁর মেয়ে মরিয়ম আক্তার, মরিয়মের মেয়ে শীলা আক্তার, মশিরনের ছেলের ঘরের দুই নাতি ইসহাক মণ্ডল ও ইউসুফ মণ্ডল এবং ইজিবাইকের চালক নাসির উদ্দিন। চালকের বাড়ি পুঁইজোর গ্রামে।


মরিয়মের মামি ছালেহা বেগম বলেন, মশিরনের ছেলে ইসলাম মণ্ডল প্রায় আট মাস ধরে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে আছেন। আজ পরিবারের সদস্যদের ইসলামের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। এ জন্য পরিবারের সদস্যরা ইজিবাইক নিয়ে রাজবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হন। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের পাঁচজন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় মর্জিনা ও আহমদ হোসেন নামের দুজনকে প্রথমে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর তাঁদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, একটি ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেট কার রাজবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে পৌঁছানোর পর বিপরীত দিক থেকে ট্রাক ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইক দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের তিনজন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও তিনজন।

প্রাইভেট কারের যাত্রী সঞ্জু সরকার বলেন, তাঁরা কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। কালুখালীর ওই এলাকায় তাঁরা ইজিবাইকের পেছনে ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক আসে। ইজিবাইক ট্রাককে সাইড দেয়। কিন্তু ট্রাকটি ইজিবাইককে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকটি ভেঙে যায়। এ সময় তাঁদের গাড়ির চালক ডান দিকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। ট্রাকটি ডান দিকে চলে আসায় তাঁদের গাড়ির সামনের অংশ ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। এতে তাঁর বোন আহত হন।

ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

আরো পড়ুন:





Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget