Latest Post

 



বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সভাপতি শামছুর রহমান সম্পাদক লতা


ন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে শামছুর রহমান-খায়রুজ্জামান মধু-এমদাদুল হক লতা পরিষদের ১৮ জন প্রার্থী এবং ‘ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে ‘ছাতা’ প্রতীকের সজন-ভারত-ফজলু পরিষদের আবু তাহের ভারত জয় লাভ করেছে।


সোমবার (৩০ মে) সকাল ৮টা বিকাল ৪টা পযর্ন্ত গ্রহণ শেষে ভোটগণনা শেষে রাত সাড়ে ৯টার সময় ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনে ‘সমমনা সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের’ ব্যানারে ‘আনারস’ প্রতীকে শামছুর রহমান- খায়রুজ্জামান মধু-এমদাদুল হক লতা নেতৃত্বাধীন সমমনা পরিষদের ১৮ জন প্রাথী জয়ী হয়েছেন। এবং ‘ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে ‘ছাতা’ প্রতীকের সজন-ভারত- ফজলু পরিষদের আবু তাহের ভারত জয়ী হয়েছেন।

নব নির্বাচিত সভাপতি শামছুর রহমান পেয়েছেন ৩৯০ ভোট, সহ-সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু পেয়েছেন ৩২৯ ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা পেয়েছেন ৪১৯ ভোট।

সোমবার (৩০ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে দুটি প্যানেলের ‘সমমনা সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের’ ব্যানারে ‘আনারস’ প্রতীকে লড়ছেন শামছুর রহমান-মধু-লতা পরিষদ, অন্য দিকে ‘ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে ‘ছাতা’ প্রতীকে লড়ছেন সজন-ভারত-ফজলু পরিষদ।

সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, আমাদের ভোট দিয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী করায় সকল সিএন্ডএফ এজেন্টস সদস্য ও ভাই-বোনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের মূল্যবান রায়ে আমরা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে আমরা কাজ করে যাবো।

নির্বাচন কমিশনার ফারুক হোসেন উজ্জ্বল বলেন, কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে মোট ৭২৪ জন ভোটারের মধ্যে ৫৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।


আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



যুবলীগে অনুপ্রবেশকারীদের রাজত্ব বন্ধ করতে হবে |


দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে পদ প্রত্যাশীদের তোরন, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে চট্টগ্রামের হাটহারীতে পার্বতী স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ ও উপজেলা সমূহ।

আজ রোববার (২৯ মে) চট্টগ্রামের হাটহারীতে পার্বতী স্কুল মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

উত্তরজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সা: সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সা: সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জি: মোশাররফ হোসেন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ এমপি ও ভার্চুয়ালে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন, সফলতা এনে দিয়েছেন এগুলো আমাদের বড় অর্জন। এই অর্জনকে রক্ষার দায়িত্ব যুবলীগের। পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রাজপথে রক্ষা করতে হবে।

উপস্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নির্ণয় করতে হবে কিভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তিনি বলেন, রাজনীতি মানে অধিকার আদায় করা। কোনো গোষ্ঠী বা গোত্রের অধিকার হরণ হয় বা নিপীড়িত হয় তখনই যুবলীগ প্রতিবাদী কন্ঠ হিসেবে ভূমিকা রাখে, যা যুবলীগের চরিত্র। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতি, সংস্কৃতির পরিবর্তন আসবে। আজকে যুবলীগ মানবিক যুবলীগে আবর্তিত হয়ে আলোর দিকে ধাবমান।

যুবলীগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। কেননা সামনের দিনে দক্ষতার বিকল্প নাই। রাজপথে আমাদের মেধাবী সৈনিক দরকার, সৃজনশীল প্রতিভার দরকার, দক্ষ কারিগরের দরকার। আমাদের প্রত্যয় হবে শোষণ মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম। মানুষকে শোষণ, শাসন, নির্যাতন করা যাবে না।





তিনি আরও বলেন, সামনে অনেক প্রতিকূলতা। বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে থেকে প্রতিহত করতে হবে। রাস্তায় আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামীতে যুব সমাজকে যুব শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। কেননা যুব শক্তি মেধা ও দক্ষতা দ্বারা বলিয়ান।

পরশ বলেন, সংগঠনে ভুঁইফোড় অনুপ্রবেশকারীদের রাজত্ব বন্ধ করতে হবে। আশা করি আপনারা ত্যাগী সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ নেতাকর্মীদের নির্বাচন করে মূল্যায়ন করবেন। যারা দলের দুঃসময়ে সংগ্রাম করেছে, জেল-জুলুম ত্যাগ-তিতিক্ষা অত্যাচার সহ্য করেছে, তাদেরকে আপনারা বিবেচনা করবেন। বিবেচনা করবেন তাদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড ও কার্যকলাপ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ দুর্নীতিগ্রস্ত হবেন না। দুর্নীতি বাংলাদেশকে ভিতর থেকে খেয়ে ফেলেছে। দুর্নীতি দূর করা কঠিন কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যুবলীগ দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। আইন করে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সামাজিক আন্দোলন করে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে জনগণকে যুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, যুবলীগের প্রয়োজন সুশৃঙ্খল সংগঠন। এ সংগঠনে সবাইকে সুশৃঙ্খল নীতিমালা মেনে চলতে হবে। যারা যে পদপদবী পাবেন তারা কমিটির সদস্যদের খবরা খবর নিতে হবে। সংগঠনের সকল সভা থেকে শুরু করে বর্ধিত সভাগুলো যথা সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, দিদারুল আলম ও খাদিজাতুল আনোয়ার, যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটসহ উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে সর্বশেষ যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে কেন্দ্র থেকে এস এম আল মামুনকে সভাপতি ও এস এম রাশেদুল আলম সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অন্যান্যদের পদ-পদবীতে বহাল রেখে সর্বশেষ কমিটি করা হয়েছিল।


আরো পড়ুন:

 



রাণীশংকৈলে অর্জিত হয়নি সরকারের গম সংগ্রহ অভিযান


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে গমের দাম বেশি। তাই কৃষকেরা গম বাজারে বিক্রি করে দেওয়ায় চলতি মৌসুমে গম সংগ্রহ করতে পারছে না উপজেলা খাদ্য বিভাগ। গোটা উপজেলায় ৪ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সোমবার (৩০মে) পর্যন্ত মাত্র তিন মেট্রিকটন গম সংগ্রহ করে থমকে গেছে চলতি বছরের গম সংগ্রহ অভিযান।

স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, গত রবিবার নেকমরদ বাজারে প্রতি কেজি গম ৩২-৩৫ টাকার বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। আর সরকার নির্ধারিত দাম ২৮ টাকা। এ পরিস্থিতিতে গুদামে গম বিক্রি করতে গেলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে।

লটারিতে নির্বাচিত কৃষকেরা খুচরা বাজারে গম বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ৭/১০ টাকা বেশি পাওয়ায় তাঁরা খাদ্যগুদামে গম দেননি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাণীশংকৈল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ৪৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭১ মেট্রিক টন।

১ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হলেও গমের মৌসুমের শেষে এসে মাত্র একজন কৃষকের কাছ তিন মেট্রিক টন গম কিনতে পেরেছে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। এতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পথে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত বাকি ১ হাজার ৪৮৩ জন কৃষকের কেউ গম দেননি।

খাদ্যগুদামে গম না দেওয়ার বিষয়ে কৃষকেরা জানান, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, তা খুচরা বাজারের থেকে কেজিতে ৭-১০ টাকা কম। বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় গুদামে গম দিলে লাভ কম হবে। এ ছাড়া খাদ্যগুদামে গম দিলে বস্তার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অতিরিক্ত পরিবহন খরচ লাগে। তাই বাড়ি থেকেই ফড়িয়াদের কাছে গম বিক্রি করা হচ্ছে।

গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের দেওয়া ১৮ হাজার ৮১২ জন কৃষকের নামের তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার ৪৮৪ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলায় দুটি খাদ্যগুদাম রয়েছে। এর মধ্যে পৌরশহরের রাজবাড়ী খাদ্যগুদামে গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। নেকমরদ গুদামে ছিল ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন। কিন্তু দুই খাদ্যগুদামে এ পর্যন্ত মাত্র ৩ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘গমের মণ মৌসুমের শুরুতে ছিল ১ হাজার ১০০। এখন ১ হাজার ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তাই কৃষকেরা গম খাদ্যগুদামে দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’

রাণীশংকৈল রাজবাড়ী খাদ্যগুদামের উপসহকারী খাদ্য কর্মকর্তা কাউসার আলী বলেন, ‘খোলাবাজারে এখন প্রতি কেজি গম ৩২-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সরকার নির্ধারিত দর ২৮ টাকা। কৃষক যেখানে ফসলের দাম বেশি পাবেন, সেখানেই বিক্রি করবেন। এটাই স্বাভাবিক।
এই গুদামে এবারে কেউ গম দেয়নি। গম সংগ্রহ শূন্যের কোঠায়।’

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইশকে আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গম সংগ্রহের জন্য কৃষকদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কেনা সম্ভব হয়নি। সরকারি যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাজারে এখন সেই দামের চেয়েও বেশিতে গম বেচাকেনা হচ্ছে। যে কারণে খাদ্যগুদামে গম বিক্রি করতে নির্বাচিত কৃষকেরাও আসছেন না।


আরো পড়ুন:

Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা আটক- ১


ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রমরমা ব্যবসা। স্বাস্থ্য সেবার নামে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা। সরকার স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার তদারকিতে স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করাসহ বন্ধ করে দিচ্ছে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান।





স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ে শনিবার (২৮মে) বিকেলে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।

এসময় জেলা শহরের পাঁচটি ক্লিনিকে তারা অভিযান পরিচালনা করেন । পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও নিবন্ধনহীন ক্লিনিকে কাগজপত্র না থাকায় মেডিনোভা ডক্টরস জোন এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার, নিউরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উত্তরা ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠানে সিলগালা করা হয়। সেসময় আটক করা হয় একজনকে।

অভিযান চলাকালীন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিবন্ধনহীন না থাকা এবং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগলা করা হয়েছে। এ ভ্রাম্যমান অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।


আরো পড়ুন:



 



মাঙ্কিপক্স কী?

মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা ইঁদুর এবং বানর গোত্রীয় বন্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় এবং মাঝে মাঝে মানুষের দেহেও এর সংক্রমণ ঘটে। বেশিরভাগই মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগটি দেখা গিয়েছে। ১৯৫৮ সালে গবেষণার জন্য রাখা বানরদের মধ্যে গুটিবসন্তের মতো রোগের দু’টি প্রাদুর্ভাব ঘটলে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন। এই কারণেই ভাইরসাটির নাম মাঙ্কিপক্স। প্রথম মানব সংক্রমণ ঘটে ১৯৭০ সালে কঙ্গোর প্রত্যন্ত অংশে ৯ বছর বয়সী এক শিশুর দেহে।

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শেষ না হতেই আরেক সংক্রামক ভাইরাস মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মাঙ্কিপক্স একটি ‘একেবারে বিরল ও স্বল্প পরিচিত’ রোগ, যা মাঙ্কিপক্স প্রজাতির ভাইরাসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ইঁদুর ও কাঠবিড়ালির মতো প্রাণীর মাধ্যমে সাধারণত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তা ছাড়া মানুষ থেকে মানুষেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গবেষণা বলছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি বায়ুবাহিত এবং প্রায় চার দিন পর্যন্ত বাতাসে টিকে থাকতে পারে। এর অর্থ এই সময়কালে এটি সংক্রামকও হতে পারে।

৭ মে প্রথম একজন ইউরোপীয় নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আর্দ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। এরপর একসময় মানবদেহেও সংক্রমণ ঘটায় এই ভাইরাসটি। সাধারণত হালকা ভাইরাল সংক্রমণের জন্য দায়ী এই ভাইরাস। ভাইরাসটি গুটিবসন্তের মতো ভাইরাল প্রজাতির সদস্য। এই প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ভেরিওলা ভাইরাস, ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস ও কাউপক্স ভাইরাস


করোনাভাইরাসের পর নতুন আতঙ্ক হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হয়েছে মাঙ্কিপক্স।

 বৃটেন সহ ইউরোপের অনেক দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইসরাইলে দেখা দিয়েছে এই পক্স বা বসন্ত। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা এই রোগের সৃষ্টি হয়। জলবসন্ত সৃষ্টি করে যে ভাইরাস, সেই একই পরিবারের সদস্য এই ভাইরাস। তবে এর ভয়াবহতা অনেকটা কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্ষে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম। সাধারণত এই রোগ দেখা দেয় রেইনফরেস্ট এলাকার কাছে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এই ভাইরাসের দুটি স্ট্রেইন আছে। তাহলো পশ্চিম আফ্রিকান এবং মধ্য আফ্রিকান। প্রথমেই এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ফুলে যেতে পারে, ব্যাকপেইন, মাংসপেশীর ব্যথা, নিঃরস ভাব।



ইতিমধ্যে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ মধ্যপ্রাচ্যেও এই রোগটি শনাক্ত হয়েছে। আফ্রিকার বাইরে ‘মাঙ্কিপক্সের’ এই অস্বাভাবিক বিস্তার বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রমতে, এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১১৫ জনের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বা সন্দেহভাজন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশও রয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে শিগগিরই এই ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। এই সংস্থাটি ইতিমধ্যে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন আক্রান্ত দেশসহ অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা শুরু করেছে। জীবনঘাতী এই ভাইরাসের শনাক্তকরণ, নজরদারি ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য কাজ করছে এই সংস্থাটি।


আরো পড়ুন:


 



ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাদের লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল
করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।

শুক্রবার(২৭ মে) বিকেলে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মুজাহিদুর রহমান শুভ'র সভাপতিত্বে পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য দেন, জেলা আ.লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা, পৌর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহির উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্বপন কুমার ঘোষ, উপ-মহিলা বিষয় সম্পাদক শিউলী আক্তার,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান টিটু, প্রভাষক আল মামুন,রহিম, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াফু তপু, যুন্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক আবু হাসনাত মশিউর রহমান রুমন প্রমূখ।








এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিএনপি নেতারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা (বিএনপি) কখনো দেশের মানুষের শান্তি দেখতে চায়না। দেশের উন্নয়ন তারা সহ্য করতে পরেনা। শুধু মিথ্যাচার দিয়েই এগিয়ে যেতে চায়। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিএনপির নেতারা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেই সাথে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তথাকথিত প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে 'হত্যার হুমকি'র বয়ান তৈরি করছে তারা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এসময় বিক্ষোভে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতারা জেলা ডাকবাংলো চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget