Latest Post

 



রাণীশংকৈলে অর্জিত হয়নি সরকারের গম সংগ্রহ অভিযান


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে গমের দাম বেশি। তাই কৃষকেরা গম বাজারে বিক্রি করে দেওয়ায় চলতি মৌসুমে গম সংগ্রহ করতে পারছে না উপজেলা খাদ্য বিভাগ। গোটা উপজেলায় ৪ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সোমবার (৩০মে) পর্যন্ত মাত্র তিন মেট্রিকটন গম সংগ্রহ করে থমকে গেছে চলতি বছরের গম সংগ্রহ অভিযান।

স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, গত রবিবার নেকমরদ বাজারে প্রতি কেজি গম ৩২-৩৫ টাকার বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। আর সরকার নির্ধারিত দাম ২৮ টাকা। এ পরিস্থিতিতে গুদামে গম বিক্রি করতে গেলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে।

লটারিতে নির্বাচিত কৃষকেরা খুচরা বাজারে গম বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ৭/১০ টাকা বেশি পাওয়ায় তাঁরা খাদ্যগুদামে গম দেননি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাণীশংকৈল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ৪৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭১ মেট্রিক টন।

১ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হলেও গমের মৌসুমের শেষে এসে মাত্র একজন কৃষকের কাছ তিন মেট্রিক টন গম কিনতে পেরেছে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। এতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পথে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত বাকি ১ হাজার ৪৮৩ জন কৃষকের কেউ গম দেননি।

খাদ্যগুদামে গম না দেওয়ার বিষয়ে কৃষকেরা জানান, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, তা খুচরা বাজারের থেকে কেজিতে ৭-১০ টাকা কম। বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় গুদামে গম দিলে লাভ কম হবে। এ ছাড়া খাদ্যগুদামে গম দিলে বস্তার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অতিরিক্ত পরিবহন খরচ লাগে। তাই বাড়ি থেকেই ফড়িয়াদের কাছে গম বিক্রি করা হচ্ছে।

গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের দেওয়া ১৮ হাজার ৮১২ জন কৃষকের নামের তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার ৪৮৪ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলায় দুটি খাদ্যগুদাম রয়েছে। এর মধ্যে পৌরশহরের রাজবাড়ী খাদ্যগুদামে গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। নেকমরদ গুদামে ছিল ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন। কিন্তু দুই খাদ্যগুদামে এ পর্যন্ত মাত্র ৩ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘গমের মণ মৌসুমের শুরুতে ছিল ১ হাজার ১০০। এখন ১ হাজার ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তাই কৃষকেরা গম খাদ্যগুদামে দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’

রাণীশংকৈল রাজবাড়ী খাদ্যগুদামের উপসহকারী খাদ্য কর্মকর্তা কাউসার আলী বলেন, ‘খোলাবাজারে এখন প্রতি কেজি গম ৩২-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সরকার নির্ধারিত দর ২৮ টাকা। কৃষক যেখানে ফসলের দাম বেশি পাবেন, সেখানেই বিক্রি করবেন। এটাই স্বাভাবিক।
এই গুদামে এবারে কেউ গম দেয়নি। গম সংগ্রহ শূন্যের কোঠায়।’

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইশকে আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গম সংগ্রহের জন্য কৃষকদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কেনা সম্ভব হয়নি। সরকারি যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাজারে এখন সেই দামের চেয়েও বেশিতে গম বেচাকেনা হচ্ছে। যে কারণে খাদ্যগুদামে গম বিক্রি করতে নির্বাচিত কৃষকেরাও আসছেন না।


আরো পড়ুন:

Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা আটক- ১


ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রমরমা ব্যবসা। স্বাস্থ্য সেবার নামে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা। সরকার স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার তদারকিতে স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করাসহ বন্ধ করে দিচ্ছে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান।





স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ে শনিবার (২৮মে) বিকেলে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।

এসময় জেলা শহরের পাঁচটি ক্লিনিকে তারা অভিযান পরিচালনা করেন । পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও নিবন্ধনহীন ক্লিনিকে কাগজপত্র না থাকায় মেডিনোভা ডক্টরস জোন এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার, নিউরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উত্তরা ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠানে সিলগালা করা হয়। সেসময় আটক করা হয় একজনকে।

অভিযান চলাকালীন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিবন্ধনহীন না থাকা এবং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগলা করা হয়েছে। এ ভ্রাম্যমান অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।


আরো পড়ুন:



 



মাঙ্কিপক্স কী?

মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা ইঁদুর এবং বানর গোত্রীয় বন্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় এবং মাঝে মাঝে মানুষের দেহেও এর সংক্রমণ ঘটে। বেশিরভাগই মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগটি দেখা গিয়েছে। ১৯৫৮ সালে গবেষণার জন্য রাখা বানরদের মধ্যে গুটিবসন্তের মতো রোগের দু’টি প্রাদুর্ভাব ঘটলে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন। এই কারণেই ভাইরসাটির নাম মাঙ্কিপক্স। প্রথম মানব সংক্রমণ ঘটে ১৯৭০ সালে কঙ্গোর প্রত্যন্ত অংশে ৯ বছর বয়সী এক শিশুর দেহে।

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শেষ না হতেই আরেক সংক্রামক ভাইরাস মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মাঙ্কিপক্স একটি ‘একেবারে বিরল ও স্বল্প পরিচিত’ রোগ, যা মাঙ্কিপক্স প্রজাতির ভাইরাসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ইঁদুর ও কাঠবিড়ালির মতো প্রাণীর মাধ্যমে সাধারণত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তা ছাড়া মানুষ থেকে মানুষেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গবেষণা বলছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি বায়ুবাহিত এবং প্রায় চার দিন পর্যন্ত বাতাসে টিকে থাকতে পারে। এর অর্থ এই সময়কালে এটি সংক্রামকও হতে পারে।

৭ মে প্রথম একজন ইউরোপীয় নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আর্দ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। এরপর একসময় মানবদেহেও সংক্রমণ ঘটায় এই ভাইরাসটি। সাধারণত হালকা ভাইরাল সংক্রমণের জন্য দায়ী এই ভাইরাস। ভাইরাসটি গুটিবসন্তের মতো ভাইরাল প্রজাতির সদস্য। এই প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ভেরিওলা ভাইরাস, ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস ও কাউপক্স ভাইরাস


করোনাভাইরাসের পর নতুন আতঙ্ক হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হয়েছে মাঙ্কিপক্স।

 বৃটেন সহ ইউরোপের অনেক দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইসরাইলে দেখা দিয়েছে এই পক্স বা বসন্ত। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা এই রোগের সৃষ্টি হয়। জলবসন্ত সৃষ্টি করে যে ভাইরাস, সেই একই পরিবারের সদস্য এই ভাইরাস। তবে এর ভয়াবহতা অনেকটা কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্ষে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম। সাধারণত এই রোগ দেখা দেয় রেইনফরেস্ট এলাকার কাছে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এই ভাইরাসের দুটি স্ট্রেইন আছে। তাহলো পশ্চিম আফ্রিকান এবং মধ্য আফ্রিকান। প্রথমেই এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ফুলে যেতে পারে, ব্যাকপেইন, মাংসপেশীর ব্যথা, নিঃরস ভাব।



ইতিমধ্যে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ মধ্যপ্রাচ্যেও এই রোগটি শনাক্ত হয়েছে। আফ্রিকার বাইরে ‘মাঙ্কিপক্সের’ এই অস্বাভাবিক বিস্তার বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রমতে, এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১১৫ জনের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বা সন্দেহভাজন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশও রয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে শিগগিরই এই ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। এই সংস্থাটি ইতিমধ্যে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন আক্রান্ত দেশসহ অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা শুরু করেছে। জীবনঘাতী এই ভাইরাসের শনাক্তকরণ, নজরদারি ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য কাজ করছে এই সংস্থাটি।


আরো পড়ুন:


 



ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাদের লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল
করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।

শুক্রবার(২৭ মে) বিকেলে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মুজাহিদুর রহমান শুভ'র সভাপতিত্বে পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য দেন, জেলা আ.লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা, পৌর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহির উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্বপন কুমার ঘোষ, উপ-মহিলা বিষয় সম্পাদক শিউলী আক্তার,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান টিটু, প্রভাষক আল মামুন,রহিম, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াফু তপু, যুন্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক আবু হাসনাত মশিউর রহমান রুমন প্রমূখ।








এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিএনপি নেতারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা (বিএনপি) কখনো দেশের মানুষের শান্তি দেখতে চায়না। দেশের উন্নয়ন তারা সহ্য করতে পরেনা। শুধু মিথ্যাচার দিয়েই এগিয়ে যেতে চায়। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিএনপির নেতারা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেই সাথে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তথাকথিত প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে 'হত্যার হুমকি'র বয়ান তৈরি করছে তারা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এসময় বিক্ষোভে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতারা জেলা ডাকবাংলো চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


আরো পড়ুন:



 



সড়কের দু'পাশই দখল করে ধান মাড়াই, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

 

ঠাকুরগাঁওয়ের প্রধান প্রধান সড়কসহ জেলার গ্রামাঞ্চলের পাকা সড়ক গুলোতে বর্তমানে ধান মাড়াই, ধান ও খড় শুকানো হচ্ছে। প্রধান সড়কের অর্ধেক রাস্তা খর ও ধান দিয়ে ব্লক করা হয়েছে। এ নিয়ে সড়কে চলাচল করতে চরম বিপাকে পড়েছেন ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সব রকমের যানবাহনের গাড়ি চালকরা।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। সকাল হলেই বিশেষ করে জেলার ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী রাণীশংকৈল - নেকমরদ মহাসড়কের কৃষষকরা ক্ষেত থেকে ধান কেটে রাস্তায় মাড়াই করে ও রাস্তার উপরে দু'পাশেই ধান ও ধানের খড় শুকাচ্ছেন বিকাল অব্দি। আর বিকাল থেকে শুরু হয় রাস্তায় ঢেলে দেওয়া ধান বস্তায় করে তুলে বাড়ি নিয়ে যাওয়া। খর গুলোকে জড়ো করে রাস্তার পাশেই বড় বড় স্তুপ করে রাখেন। শুকিয়ে গেলে অনেকে আবার বাড়িও নিয়ে যান।





বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবেই বিভিন্ন ফসল মাড়াই ও শুকানোর কাজ করছেন স্থানীয়রা।

প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন ফসলের মৌসুমে এ ভাবে রাস্তাগুলোর অর্ধেক জায়গা দখল করে ফসল শুকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। তাতে সড়ক গুলোতে গাড়ি চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে যায়। গাড়ি অভারটেকিং করাসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। ফলে সড়কে চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টির কারনে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। এতে অনেকের প্রাণনাশের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন সড়কে চলাচলকারীরা ও গাড়ি চালকরা। রাস্তা থেকে এসব দ্রুত অপসারণ করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন তারা।

সড়কে যেন এভাবে কোন ফসল শুকানো না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে মাসুদ রানা নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, 'রাস্তার উপর দু'পাশে বিভিন্ন সময় ধান,গম, ভূট্টা, ধানের খর শুকানোর ফলে অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।,

মাহিন্দ্র গাড়ী চালক বাবুল হক বলেন, 'এভাবে রাস্তার উপরে ধান ও খর শুকানোর ফলে গাড়ির ব্রেক ঠিকভাবে ধরে না গাড়ি স্লিপ করে চলে যায়। এভাবে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে ফলে মানুষ আহত ও নিহত হন।,



মোটরসাইকেল আরোহী ফারুক হোসেন বলেন, 'সড়কে এভাবে ধান ও খর শুকানোর ফলে অনেক মানুষের বিপদ হচ্ছে। এ বিষয়ে জরুরিভাবে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।,

আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'ধান খর দিয়ে রাস্তায় মরণ ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। এভাবে এক্সিডেন্ট করে মানুষ মারা যাচ্ছে কিন্তু প্রশাসন এগুলো কিছুই দেখে না।,

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

জীবনের ঝুঁকি থাকলেও বাড়িতে জায়গা সংকটের কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর ধান মাড়াই করে ধান ও খর শুকাচ্ছেন বলে জানান তারা।

লুৎফর রহমান নামে এক কৃষকের কাছে রাস্তায় ধান ও খর শুকানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাড়িতে জায়গা নেই। তাই উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় এগুলো শুকাচ্ছি।,


আইয়ুব আলী নামে এক কৃষক বলেন, 'এখন বর্ষাকাল। বৃষ্টির কারণে বাড়ির আঙিনা গুলো কাদা হয়ে গেছে। এজন্য জীবনের ঝুঁকি থাকলেও ও কষ্ট হলেও ধান ও খর রাস্তায় শুকাইতে হচ্ছে।,

জেলা প্রশাসককে রাস্তার উপরে ধান ও খর শুকানোর বিষয়টি অবগত করা হলে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'রাস্তার উপর এভাবে ধান শুকানোর কোনো সুযোগ নেই। রাস্তায় ধান ও খর শুকানোর ফলে দুর্ঘটনার প্রবণতা অবশ্যই সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দের মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করা হবে। যাতে তারা রাস্তায় ধান ও খর না শুকায়।



আরো পড়ুন:

 



ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার আগামী তিন বছরের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য (১৮ বছর) হবেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সে হিসাবে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

বুধবার সদর গড়েয়ার ৪নং ওয়ার্ডে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এসময় সাধারণ মানুষের অনেক বেশি ভিড় লক্ষ্যে করা যায় ভোটার হওয়ার জন্য। ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলার জন্য সকলে উৎসুকভাবে অংশগ্রহণ করে।

ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ইউটিলিটি (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস) বিলের কপি প্রয়োজন হবে।






নির্বাচন অফিস সূত্রমতে, সদর উপজেলায় বর্তমান ভোটার ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৭৯ জন। সম্ভাব্য বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৩৪ হাজার ১৭৮ জন। ১০ মে ছবি তোলার কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ১৯৮ জন তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তাদের তদারকি করার জন্য ৪১ জন সুপারভাইজার নিয়োজিত রয়েছেন।

ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আসা ওই এলাকার মফিজুল, রহমত, জিল্লুরসহ আরো অনেকে বলেন, খুব সহজে ভোটার তালিকায় নিজের নাম দিতে পারছি। বাসায় এসে ভোটার তালিকায় নাম নিচ্ছে। ঘরে বসে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছি আমরা। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান সকলে

তথ্য সংগ্রহের কাজ পরিদর্শন করেন জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসার রেজাউল ইসলাম এবং সুপারভাইজার মাসুদ রানা।

জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন যোগ্য ভোটারও যেন ভোটার তালিকা হতে বাদ না পরে।

সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারেরা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে সঠিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরাও কাজগুলো মনিটরিং করছি। আমরা আশা করছি আমাদের হালনাগাদ কার্যক্রম সুন্দর ভাবে সুসম্পন্ন হবে।


আরো পড়ুন:

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget