Latest Post

 



মাঙ্কিপক্স কী?

মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা ইঁদুর এবং বানর গোত্রীয় বন্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় এবং মাঝে মাঝে মানুষের দেহেও এর সংক্রমণ ঘটে। বেশিরভাগই মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগটি দেখা গিয়েছে। ১৯৫৮ সালে গবেষণার জন্য রাখা বানরদের মধ্যে গুটিবসন্তের মতো রোগের দু’টি প্রাদুর্ভাব ঘটলে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন। এই কারণেই ভাইরসাটির নাম মাঙ্কিপক্স। প্রথম মানব সংক্রমণ ঘটে ১৯৭০ সালে কঙ্গোর প্রত্যন্ত অংশে ৯ বছর বয়সী এক শিশুর দেহে।

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শেষ না হতেই আরেক সংক্রামক ভাইরাস মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মাঙ্কিপক্স একটি ‘একেবারে বিরল ও স্বল্প পরিচিত’ রোগ, যা মাঙ্কিপক্স প্রজাতির ভাইরাসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ইঁদুর ও কাঠবিড়ালির মতো প্রাণীর মাধ্যমে সাধারণত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তা ছাড়া মানুষ থেকে মানুষেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গবেষণা বলছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি বায়ুবাহিত এবং প্রায় চার দিন পর্যন্ত বাতাসে টিকে থাকতে পারে। এর অর্থ এই সময়কালে এটি সংক্রামকও হতে পারে।

৭ মে প্রথম একজন ইউরোপীয় নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আর্দ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। এরপর একসময় মানবদেহেও সংক্রমণ ঘটায় এই ভাইরাসটি। সাধারণত হালকা ভাইরাল সংক্রমণের জন্য দায়ী এই ভাইরাস। ভাইরাসটি গুটিবসন্তের মতো ভাইরাল প্রজাতির সদস্য। এই প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ভেরিওলা ভাইরাস, ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস ও কাউপক্স ভাইরাস


করোনাভাইরাসের পর নতুন আতঙ্ক হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হয়েছে মাঙ্কিপক্স।

 বৃটেন সহ ইউরোপের অনেক দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইসরাইলে দেখা দিয়েছে এই পক্স বা বসন্ত। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা এই রোগের সৃষ্টি হয়। জলবসন্ত সৃষ্টি করে যে ভাইরাস, সেই একই পরিবারের সদস্য এই ভাইরাস। তবে এর ভয়াবহতা অনেকটা কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্ষে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম। সাধারণত এই রোগ দেখা দেয় রেইনফরেস্ট এলাকার কাছে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এই ভাইরাসের দুটি স্ট্রেইন আছে। তাহলো পশ্চিম আফ্রিকান এবং মধ্য আফ্রিকান। প্রথমেই এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ফুলে যেতে পারে, ব্যাকপেইন, মাংসপেশীর ব্যথা, নিঃরস ভাব।



ইতিমধ্যে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ মধ্যপ্রাচ্যেও এই রোগটি শনাক্ত হয়েছে। আফ্রিকার বাইরে ‘মাঙ্কিপক্সের’ এই অস্বাভাবিক বিস্তার বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রমতে, এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১১৫ জনের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বা সন্দেহভাজন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশও রয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে শিগগিরই এই ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। এই সংস্থাটি ইতিমধ্যে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন আক্রান্ত দেশসহ অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা শুরু করেছে। জীবনঘাতী এই ভাইরাসের শনাক্তকরণ, নজরদারি ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য কাজ করছে এই সংস্থাটি।


আরো পড়ুন:


 



ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাদের লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল
করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।

শুক্রবার(২৭ মে) বিকেলে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মুজাহিদুর রহমান শুভ'র সভাপতিত্বে পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য দেন, জেলা আ.লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা, পৌর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহির উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্বপন কুমার ঘোষ, উপ-মহিলা বিষয় সম্পাদক শিউলী আক্তার,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান টিটু, প্রভাষক আল মামুন,রহিম, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াফু তপু, যুন্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক আবু হাসনাত মশিউর রহমান রুমন প্রমূখ।








এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিএনপি নেতারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা (বিএনপি) কখনো দেশের মানুষের শান্তি দেখতে চায়না। দেশের উন্নয়ন তারা সহ্য করতে পরেনা। শুধু মিথ্যাচার দিয়েই এগিয়ে যেতে চায়। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিএনপির নেতারা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেই সাথে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তথাকথিত প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে 'হত্যার হুমকি'র বয়ান তৈরি করছে তারা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এসময় বিক্ষোভে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতারা জেলা ডাকবাংলো চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


আরো পড়ুন:



 



সড়কের দু'পাশই দখল করে ধান মাড়াই, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

 

ঠাকুরগাঁওয়ের প্রধান প্রধান সড়কসহ জেলার গ্রামাঞ্চলের পাকা সড়ক গুলোতে বর্তমানে ধান মাড়াই, ধান ও খড় শুকানো হচ্ছে। প্রধান সড়কের অর্ধেক রাস্তা খর ও ধান দিয়ে ব্লক করা হয়েছে। এ নিয়ে সড়কে চলাচল করতে চরম বিপাকে পড়েছেন ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সব রকমের যানবাহনের গাড়ি চালকরা।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। সকাল হলেই বিশেষ করে জেলার ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী রাণীশংকৈল - নেকমরদ মহাসড়কের কৃষষকরা ক্ষেত থেকে ধান কেটে রাস্তায় মাড়াই করে ও রাস্তার উপরে দু'পাশেই ধান ও ধানের খড় শুকাচ্ছেন বিকাল অব্দি। আর বিকাল থেকে শুরু হয় রাস্তায় ঢেলে দেওয়া ধান বস্তায় করে তুলে বাড়ি নিয়ে যাওয়া। খর গুলোকে জড়ো করে রাস্তার পাশেই বড় বড় স্তুপ করে রাখেন। শুকিয়ে গেলে অনেকে আবার বাড়িও নিয়ে যান।





বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবেই বিভিন্ন ফসল মাড়াই ও শুকানোর কাজ করছেন স্থানীয়রা।

প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন ফসলের মৌসুমে এ ভাবে রাস্তাগুলোর অর্ধেক জায়গা দখল করে ফসল শুকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। তাতে সড়ক গুলোতে গাড়ি চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে যায়। গাড়ি অভারটেকিং করাসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। ফলে সড়কে চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টির কারনে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। এতে অনেকের প্রাণনাশের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন সড়কে চলাচলকারীরা ও গাড়ি চালকরা। রাস্তা থেকে এসব দ্রুত অপসারণ করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন তারা।

সড়কে যেন এভাবে কোন ফসল শুকানো না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে মাসুদ রানা নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, 'রাস্তার উপর দু'পাশে বিভিন্ন সময় ধান,গম, ভূট্টা, ধানের খর শুকানোর ফলে অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।,

মাহিন্দ্র গাড়ী চালক বাবুল হক বলেন, 'এভাবে রাস্তার উপরে ধান ও খর শুকানোর ফলে গাড়ির ব্রেক ঠিকভাবে ধরে না গাড়ি স্লিপ করে চলে যায়। এভাবে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে ফলে মানুষ আহত ও নিহত হন।,



মোটরসাইকেল আরোহী ফারুক হোসেন বলেন, 'সড়কে এভাবে ধান ও খর শুকানোর ফলে অনেক মানুষের বিপদ হচ্ছে। এ বিষয়ে জরুরিভাবে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।,

আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'ধান খর দিয়ে রাস্তায় মরণ ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। এভাবে এক্সিডেন্ট করে মানুষ মারা যাচ্ছে কিন্তু প্রশাসন এগুলো কিছুই দেখে না।,

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

জীবনের ঝুঁকি থাকলেও বাড়িতে জায়গা সংকটের কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর ধান মাড়াই করে ধান ও খর শুকাচ্ছেন বলে জানান তারা।

লুৎফর রহমান নামে এক কৃষকের কাছে রাস্তায় ধান ও খর শুকানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাড়িতে জায়গা নেই। তাই উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় এগুলো শুকাচ্ছি।,


আইয়ুব আলী নামে এক কৃষক বলেন, 'এখন বর্ষাকাল। বৃষ্টির কারণে বাড়ির আঙিনা গুলো কাদা হয়ে গেছে। এজন্য জীবনের ঝুঁকি থাকলেও ও কষ্ট হলেও ধান ও খর রাস্তায় শুকাইতে হচ্ছে।,

জেলা প্রশাসককে রাস্তার উপরে ধান ও খর শুকানোর বিষয়টি অবগত করা হলে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'রাস্তার উপর এভাবে ধান শুকানোর কোনো সুযোগ নেই। রাস্তায় ধান ও খর শুকানোর ফলে দুর্ঘটনার প্রবণতা অবশ্যই সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দের মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করা হবে। যাতে তারা রাস্তায় ধান ও খর না শুকায়।



আরো পড়ুন:

 



ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার আগামী তিন বছরের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য (১৮ বছর) হবেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সে হিসাবে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

বুধবার সদর গড়েয়ার ৪নং ওয়ার্ডে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এসময় সাধারণ মানুষের অনেক বেশি ভিড় লক্ষ্যে করা যায় ভোটার হওয়ার জন্য। ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলার জন্য সকলে উৎসুকভাবে অংশগ্রহণ করে।

ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ইউটিলিটি (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস) বিলের কপি প্রয়োজন হবে।






নির্বাচন অফিস সূত্রমতে, সদর উপজেলায় বর্তমান ভোটার ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৭৯ জন। সম্ভাব্য বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৩৪ হাজার ১৭৮ জন। ১০ মে ছবি তোলার কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ১৯৮ জন তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তাদের তদারকি করার জন্য ৪১ জন সুপারভাইজার নিয়োজিত রয়েছেন।

ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আসা ওই এলাকার মফিজুল, রহমত, জিল্লুরসহ আরো অনেকে বলেন, খুব সহজে ভোটার তালিকায় নিজের নাম দিতে পারছি। বাসায় এসে ভোটার তালিকায় নাম নিচ্ছে। ঘরে বসে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছি আমরা। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান সকলে

তথ্য সংগ্রহের কাজ পরিদর্শন করেন জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসার রেজাউল ইসলাম এবং সুপারভাইজার মাসুদ রানা।

জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন যোগ্য ভোটারও যেন ভোটার তালিকা হতে বাদ না পরে।

সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারেরা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে সঠিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরাও কাজগুলো মনিটরিং করছি। আমরা আশা করছি আমাদের হালনাগাদ কার্যক্রম সুন্দর ভাবে সুসম্পন্ন হবে।


আরো পড়ুন:




শার্শায় ভারতীয় রুপা ও মোটরসাইকেলসহ পাচারকারী আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৮ কেজি ৩শ' গ্রাম ভারতীয় রুপা ও একটি মোটরসাইকেলসহ জসিম উদ্দিন (৩৯) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছ পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকালে উপজেলার গোগা-সাতমাইল সড়কের বসতপুর ফুলতলা মোড় থেকে এ রুপার চালানটি আটক করে বাগআঁচড়া তদন্ত কেন্দ্রর পুলিশ।

আটক জসিম উদ্দিন উপজেলার গোগা গাজীপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, রুপা পাচারের গোপন খবর পেয়ে অভিযানে চালিয়ে একটি মোটরসাইকেল সহ জসিমকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় রাখা ৮ কেজি ৩শ' গ্রাম ভারতীয় রুপা উদ্ধার করা হয়।

বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, আটক আসামীর বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 


ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে
-রমেশ চন্দ্র সেন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যে কাজ করছে, তা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি মহল বসে নেই, তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মী ও জনগণকে সোচ্চার থাকার আহবান জানান তিনি।

মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


সংসদ রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের এ সরকারকে প্রয়োজন। তাই আগামী ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুণরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা পুণরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য সকলকে ঐকব্যদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা দেশের উন্নয়নের নামে অর্থ লুটপাট করেছে এবং বিদেশে পাচারও করেছে। তারা দেশকে একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে ব্যাপক হারে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, যা গুনে শেষ করা যাবে না। এসব উন্নয়নের সুফলও জনগণ ভোগ করছে। অতএব আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের সরকার, আওয়ামী লীগ আসলেই দেশের চেহেরা পাল্টে যায়।

রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এই পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি কি ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ স্বপ্নের পদ্মাসেতু হয়ে গেছে। এখন জনগণকে আর কষ্ট করে পদ্মা নদী পারপার হতে হবে না, পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে এপার থেকে ঐপার, আর ঐপার থেকে এপারে যাতায়াত করতে পারবে।



সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসছে; এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকাকে নির্বাচিত করতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহŸান জানান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।


ঠাকুরগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি ইকরামুল হক একরামের সভাপতিত্বে ও নব-নির্বাচিত পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।

এছাড়াও বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আ ফ ম গোলাম ফারুক রুবেল, অ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম প্রমুখ।

এরআগে ঠাকুরগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত কমিটি ও পৌর আওয়ামী লীগের অধিনে গঠিত পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন অতিথিরা।


আরো পড়ুন:




 


ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সর্বাত্মক হামলা শুরু রাশিয়ার

ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘেরাও করতে আজ মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছেন রুশ সেনারা। এই হামলার ফলাফল ওই অঞ্চলে রুশবাহিনীর সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


 ইউক্রেন যুদ্ধের ঠিক তিন মাস পর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ভূগর্ভস্থ মেট্রো চালু করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ কয়েক মাস ধরে টানা বোমা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।

মেট্রো পুনরায় চালু করা গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের বৃহত্তম সামরিক সাফল্যের প্রতীক। ইউক্রেন চাইছে রুশ বাহিনীকে মূলত খারকিভের আর্টিলারি রেঞ্জের বাইরে ঠেলে দেওয়া, যেমনটি তারা গত মার্চে রাজধানী কিয়েভে করেছিল।


যুদ্ধের সর্বশেষ পর্বের নির্ণায়ক লড়াইগুলো এখনো ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলেই চলছে। যেখানে মস্কো পূর্বাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশ দোনেস্ক এবং লুহানস্কের দনবাস অঞ্চল দখলের চেষ্টা করছে এবং মূল পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে একটি এলাকায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে।

লুহানস্কের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেন, লিসিচানস্ক এবং সিভিয়েরোডোনেৎস্ককে ঘিরে ফেলতে শত্রুরা আক্রমণ চালাচ্ছে। যেখানে দুটি শহর এখনো ইউক্রেনের দখলে থাকা শেষ অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, সিভিয়ারোডোনেৎস্কে আগুনের তীব্রতা কয়েক গুণ বেড়েছে। তারা শহরটিকে স্রেফ ধ্বংস করছে। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শহরটিতে ১৫ হাজার মানুষের বাস, যেটি এখনো ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


দনবাসে রয়টার্সের সাংবাদিকেরা আরও পশ্চিমে বাখমুতে পৌঁছেছেন। তাঁরা গতকাল সোমবার লাইসিচানস্কের দিকে মহাসড়কে তীব্র গোলাগুলি শুনেছেন। তাঁরা দেখেছেন, ইউক্রেনীয় সাঁজোয়া যান, ট্যাঙ্ক এবং রকেট লঞ্চার সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। একই সঙ্গে সেনাদের বহনকারী বাসগুলোও সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল।


এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ কবে থামবে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক ও বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করলেও তাতে কার্যত কোনো ফল আসেনি। আলোচনা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget