লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় নিবেদিতপ্রাণ ইউএনও কামরুজ্জামান
Dedicated UNO Kamruzzaman in Kamalnagar upazila of Laxmipur district
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বিগত ২০২০ সালে যোগদান করার পরপরই অল্পসময়ের ব্যবধানে তিনি কমলনগরবাসীর মন জয় করেন খুব সহজেই । একজন মানবিক ও নিবেদিতপ্রাণ অফিসার হিসাবে কমলনগর উপজেলার সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেছেন।
আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ অনেক সময় প্রশাসনের সেবা থেকে বঞ্চিত হন, কারণ তারা ডিঙাতে পারেন না কর্মকর্তাদের অফিসের দরজা। সরকারি সেবা পাওয়া আর সোনার হরিণ মনে হয় সমান। দিনের পর দিন ঘুরে কাজ করাতে না পেরে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে সরকারি অফিস ও অফিসারদের উপর। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছেন। তেমনই একজন ব্যাতিক্রম বর্তমানে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন মোঃ কামরুজ্জামান।
উপকূলীয় অঞ্চলে গঠিত নদী ভাংগনের শিকার কমলনগর উপজেলা। কিন্তু ভালো কাজ, ভালো ব্যবহার আর ভালোবাসা দিয়ে ইতোমধ্যেই মোঃ কামরুজ্জামান জয় করে নিয়েছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মন। ক্ষমতাবান মানুষ থেকে শুরু করে সাধারন দিনমজুর সবার কথা তিনি শোনের মনোযোগ সহকারে। সাধারণের জন্য নিজের অফিসের দ্বার অবারিত করতে তিনি নিয়েছেন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ।
সাধারণত যেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসের দরজা ডিঙাতে না পারায় দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ প্রশাসনের সেবা থেকে বঞ্চিত হন। উপজেলা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই দূরত্ব কমাতে মোঃ কামরুজ্জামান নিজেই সাধারণত মানুষের সাথে কথা বলে তাদের নিজেদের কষ্টের কথা শুনেন। এবং সমাধানের করেন।
তাঁর কর্মকৌশল, ন্যায় নিষ্ঠা, সময়োপযোগী কর্মকাণ্ডের জন্য কমলনগরবাসীর মনের মণিকোঠায় স্থান লাভ করে চলেছেন। সরকারী সকল দিকনির্দেশনা বাস্তবায়নে সফলতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। বলতে গেলে অনেকটা করোনা ঝুঁকিকে মাথায় নিয়েই তাঁর কমলনগরে পদার্পণ। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা মসজিদ মন্দির গীতা শিক্ষার স্কুলসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি পদার্পণ করে থাকেন, মানুষ যে কোন কাজে যান তিনি কাজ করার চেষ্টা করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন। গতবছর (২০২০ সনে) যখন বৈশ্বিক করোনা প্রতিরোধে দেশব্যাপী আতংক চলমান এবং করোনার মোকাবেলায় প্রস্তুতি চলছে এমনি সময়ে মোঃ কামরুজ্জামান কমলনগরে করোনা প্রতিরোধে করোনা যোদ্ধা হিসাবে আবির্ভূত হন
করোনা প্রতিরোধে সরকারি সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। অদ্যাবধি করোনা প্রতিরোধে ও কমলনগর কে করোনা থেকে রক্ষায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।করোনা প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করে তুলতে ও মাক্স পরিধান নিশ্চিতে এবং স্বাস্থবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে।
আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার
সাংবাদিক বান্ধব এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা করোনা প্রতিরোধে সম্মুখসারির যোদ্ধা পুলিশ প্রসাশন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সাংবাদিকদের সমভিব্যাহারে সমন্বিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে অদ্যাবধি করোনা সংক্রমনে অনেকটা নিরাপদ অবস্থানে আছে কমলনগর।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ও করোনা মোকাবেলায় তিনি কখনো কঠোর আবার কখনও কৌশলে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে অসহায়, দুস্থ ও গৃহবন্দীদের জন্য মানবিক আচরন করে চলেছেন। একদিকে যেমন সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনি কঠোর অন্যদিকে দরিদ্র, অসহায়ের সহায়। তিনি অসহায়, দুস্থদের মাঝে নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন।
এছাড়াও মোঃ কামরুজ্জামান দায়িত্ব পালন কালে অবকাঠামো উন্নয়ন সহ সরকারি সকল উন্নয়নমূলক কাজের শতভাগ বাস্তবায়ন। উপজেলার ভূমিহীন নদীভাঙ্গা গূহহীন পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা রাস্তাঘাটে স্কুল-কলেজ নির্মাণে দারুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
মুজিববর্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় 750 টি ঘর নির্মাণেও তদারকিসহ স্বচ্ছ ভাবে সুফলভোগী যাচাই-বাছাই করেন তিনি নিজেই।
সরকারি মানবিক সহায়তা বয়স্ক, বিধবা, মুক্তিযুদ্ধা, প্রতিবন্ধী,যুব, নারী কল্যাণে উপজেলা বিভিন্ন কমর্কতাদের সাথে সমন্বয় করে উন্নয়ন করে যাছেন ইউ এন ও মোঃ কামরুজ্জামান ।
এছাড়াও উপজেলা শিশু পার্ক,প্রশাসনিক ভবনের অফিস রুম আধুনিকায়ন,মসজিদের সুদৃশ্য অযুখানা,অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণে ভূমিকা রেখে চলেছেন কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান।
উপজেলার কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায়, কমলনগর উপজেলার ইতিহাসে এমন জনবান্ধব ইউএনও তারা দেখিনি। উনি অল্প কয়েকদিনে যেভাবে সকলের ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছেন, এই দেশ একদিন উনার মতো ভালো লোকের কারণেই উন্নতির শিখরে আরোহন করবে। উনি আছেন আমাদের উপজেলার সকল মানুষের হৃদয়ে।
নিজের এমন মানবিক কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, উপকূলীয় নদী ভাংগনের শিকার মানুষগুলোসহ সকলের মান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উদ্বেগ বাস্তবায়নে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সেই সাথে সরকারি অফিসগুলো তৈরি করা হয় জনসাধারণের কাজের জন্য। আমি যদি আমার অফিসে প্রবেশের জন্য কাউকে বাধা দিই, অফিসের ও সাধারণ মানুষের মাঝে পর্দা দিই, দেয়াল তুলি, তাহলে তারা কীভাবে সেবা নেবে। আমরা চাই জনসাধারণের সঙ্গে প্রশাসনের কোনো দূরত্ব থাকবে না। জনসেবার জন্যই আমাদের প্রশাসন। আমার এখানে সেবা নিতে আসা সকলের সাথে আমি নিজেই কথা বলি তাদের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করি।
তিনি আরো বলেন, আমি সাধারণ মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করি তাই এখন সবাই নির্ভয়ে তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অফিসে কথা বলতে আসে। কেউ আসেন সামাজিক সমস্যা কিংবা অভিযোগ নিয়ে। দরিদ্র মানুষরা বয়স্কভাতা, বিধবাভাতার জন্য আসেন।
মোঃ কামরুজ্জামান জন্ম কিশোরগন্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলায়। রাঙ্গামাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। । ২০২০ সালের ৮ ই অক্টোবর থেকে লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলায় নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরো পড়ুন: