Latest Post

 নিয়ামতপুরে টিসিবির পণ্য পাবে ২১ হাজার ৭৭৬ পরিবার
21 thousand 7 families will get TCB products in Niamatpur


নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে টিসিবি'র পণ্য পাবে ২১ হাজার ৭৭৬ পরিবার। এই কার্ড জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে।


কোভিড পরিস্থিতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় কমে যাওয়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশে ১ কোটি নিম্ন-আয়ের মানুষ ভুর্তকির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচির অংশ হিসাবে নিয়ামতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ২১ হাজার ৭৭৬টি পরিবার টিসিবি'র পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এসকল পরিবারকে টিসিবি'র পণ্য কেনার জন্য দেয়া হয়েছে একটি করে কার্ড। সকল কার্ড ধারীদের মাঝে ২০ মার্চ থেকে পণ্য বিতারণ শুরু হবে। কার্ডধারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে পারবে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি'র পণ্য। এবার নিম্ন-আয়ের প্রতিটি পরিবার কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে রমজানের আগে একবার দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি ছোলা পাবে। আবার রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত একই পরিমাণ পণ্য আরেক দফা দেওয়া হবে পরিবারগুলোকে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলায় মোট ২১ হাজার ৭৭৬ পরিবারকে টিসিবি'র কার্ড দেওয়া হচ্ছে। নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ন্যায্যমূল্যে টিসিবি'র পণ্য সরবরাহে কোন অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন প্রকার ছাড়ের সুযোগ নেই।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শত ২২, চন্দননগর ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শত ২২, ভাবিচা ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শত ২২, নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শত ২২, রসুলপুর ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শত ২২, পাড়ইল ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শত ২২, শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শত ২২, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শত ২২ পরিবার। এরমধ্যে হাজিনগর ইউনিয়নে ২০ মার্চ, চন্দননগর ইউনিয়নে ২১ মার্চ, ভাবিচা ইউনিয়নে ২২ মার্চ, নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নে ২৩ মার্চ, রসুলপুর ইউনিয়নে ২৪ মার্চ, পাড়ইল ইউনিয়নে ২৭ মার্চ, শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে ২৮ মার্চ ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ২৯ মার্চে ১ম দফায় টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।


আরো পড়ুন:


 দাপুটে জয়ে ইতিহাস বাংলাদেশের
History of Bangladesh after the victory of Daputa


ম্যাচটা আনুষ্ঠানিকভাবে যখন শেষ হলো, তখন দুই দলের মধ্যে ব্যবধান ৩৮ রানের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে হারানোর অপেক্ষা ২০ বছর ও ২০তম চেষ্টায় শেষ হলো বাংলাদেশের।    


ম্যাচ অবশ্য এর আগেই শেষ। ৩৮ তম ওভারে রাসি ফন ডার ডুসেনের যখন হঠাৎ ‘আত্মহত্যা’র ইচ্ছে হলো, তখন পর্দা গোটানোর শুরু। আর মেহেদী হাসান মিরাজ সে পর্দা পুরোপুরিই নামানোর ব্যবস্থা করলেন। ৪৬তম ওভারে মিরাজের বলে তেড়ে এলেন মিলার, কিন্তু বলের ফ্লাইট মিস করে ক্রিজের যেখানে আটকা পড়লেন, সেখান থেকে আর ফেরার উপায় থাকে না। ম্যাচের তখনো ২৭ বল বাকি, দক্ষিণ আফ্রিকাও অলআউট হয়নি। কিন্তু ম্যাচ শেষ তখনই। 


রিভিউ নিয়ে কেশব মহারাজকে এলবিডব্লু করে মাহমুদউল্লাহর উল্লাস শুধু ব্যাপারটাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। ৭ বল বাকি থাকতে ২৭৬ রানে অলআউট হয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরে বসেছে কদিন আগেই ভারতকে ধবল ধোলাই করা দক্ষিণ আফ্রিকা।

৪৫ ওভার শেষেও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে থাকবে এটা দুই ঘণ্টা আগেও অকল্পনীয় ছিল। শরীফুল ইসলামের কাটার আর তাসকিন আহমেদের গতিময় দুটি বলে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিক দল। লক্ষ্য যখন ৩১৫ রান, তখন ম্যাচটা তো একদিকে হেলেই পড়েছে, তাই না?

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

কিন্তু প্রতিপক্ষ দলে যে একজন রাসি ফন ডার ডুসেন আছেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাঁর গড় ৭৫ এর ওপর। এর পেছনে একটি ছোট্ট বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ঘরের মাঠে তাড়া করতে নেমে ডুসেন কখনো আউট হননি!


একদিকে টেম্বা বাভুমা খুঁটি গাড়লেন, অন্যদিকে ফন ডার ডুসেন তার মতো ইনিংস গড়ে নিয়েছেন। একদিকে যেখানে বাভুমার মতো ব্যাটসম্যানও চাপ টের পাচ্ছিলেন, করছিলেন ছটফট; ওদিকে অবিশ্বাস্য শীতল ডুসেন। ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করছেন, কোনো ঝুঁকি ছাড়া বাউন্ডারি আদায় করে নিচ্ছেন। শুধু সাকিব আল হাসানের বলেই একটু অস্বস্তি দেখা গেছে তাঁর মাঝে।

ইনিংসের মাঝপথেও তাই বাংলাদেশের ওপেনারদের দেখানো পথে এগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রান রেট বা লক্ষ্যের দিকে না তাকিয়ে আগে ভিত্তি গড়েছে। ৮৫ রানের জুটিটা শরীফুলের বাড়তি বাউন্স ও বাভুমার লাফিয়ে কাট করার সম্মিলনে থামল। এরপরও দক্ষিণ আফ্রিকার আশা শেষ হয়নি। কারণ, তখন উইকেটে এসেছেন ডেভিড মিলার।

মিলার নামতেই ডুসেন একটু রক্ষণাত্মক হয়েছেন। আক্রমণের দায়িত্ব পেয়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন মিলার। কিন্তু ডুসেনের যে হঠাৎ চরিত্রবিরোধী কিছু করার ইচ্ছা হলো। ৮১ রানে থাকা অবস্থায় রান আউট হতে পারতেন। টিভি আম্পায়ারের আলসেমি সে যাত্রা বাঁচিয়ে দিয়েছিল। 

কিন্তু নিজের শেষ ওভার করতে আসা তাসকিনকে দেখে তাঁর কী জানি হলো। অফ সাইডের ওয়াইডের বল টেনে সুইপ করলেন, সেটা স্কয়ার লেগে অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপ দিয়ে ধরে নিলেন ইয়াসির আলী। ঘরের মাঠে তাড়া করতে নেমে অবশেষে আউট হওয়ার স্বাদ পাওয়ার আগে ৮৬ রান করেছেন ডুসেন। 

ইনিংসের শুরুতে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানের পর সেট হওয়া ব্যাটসম্যানকেও বিদায় করেছেন তাসকিন। ৩৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের নায়ক তাই তাসকিন।

এরপরই আন্দিলে ফিকোয়াও নামলেন, এবং দলের বিপদ বাড়ালেন। ২ রানের ইনিংসে ১৩ বল খরচ করে, রানরেটকে প্রায় নাগালের বাইরে নিয়ে গেলেন। ৪২তম ওভারে যখন আউট হলেন ফিকোয়াও, সাড়ে ৯ এর রানরেট ১২-এর ওপরে চলে গেছে। ৮ ওভারে ১০৮ রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার, এই অবস্থায় বোলিংয়ে এসেছেন শরীফুল। পানিশূন্যতায় পেশিতে টান পাওয়া পেসার তিন বলে ১৪ রান দিলেন। মিলারকে বেশ উল্লাসও করতে দেখা গেল, কিন্তু পরের তিন বলে মাত্র ৩ রান আবার নিয়ন্ত্রণ এনে দিল বাংলাদেশকে।

পরের ওভারেই মার্কো ইয়ানসেন সীমানায় ধরা পড়লেন মিরাজের বলে। রাবাদাও মিরাজের তৃতীয় শিকার বললেন সেই ওভারেই। ৬ ওভারে ৮৪ রানের আপাত-অসম্ভব এক লক্ষ্য তখন দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। মোস্তাফিজের প্রথম বলটা চার মেরে নড়েচড়ে বসতে বললেন মিরাজ। কিন্তু বাকি পাঁচ বলে মাত্র ২ রান দিয়ে মোস্তাফিজ আবারও নিয়ন্ত্রণ বুঝে নিলেন। মিরাজের একটি বাড়তি স্পিন ও বাউন্সের বলে ৭৯ রানের ইনিংসটি থামল। ৫৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছিলেন মিলার। কিন্তু যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল, বাউন্ডারি সংখ্যা দ্বিগুণ হলেই হয়তো শুধু আজ ম্যাচটা বের করতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। মিলারের উইকেটসহ ৬১ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন মিরাজ।

২৪২ রান ৯ উইকেট হারানো স্বাগতিক দল এর পর হারের ব্যবধান কমিয়েছে। মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর বল বেশ কয়েকবার সীমানাছাড়া করে কেশব মহারাজ ও লুঙ্গি এনগিডি শেষের বিনোদন দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

বল হাতে আজ কোনো উইকেট পাননি সাকিব। তবু ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তাঁর হাতেই গেছে। কারণটা বুঝতে হলে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তাকাতে হবে।  সেঞ্চুরিয়নে আজ প্রতিপক্ষকে হতাশ করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। এ দুজনের রেকর্ড গড়া জুটি ৯৫ রান এনে দিলেও প্রায় ২২ ওভার শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। তিনে নামা সাকিবের ইতিবাচক ব্যাটিং ম্যাচটা পুরোপুরি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। ২৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার ধাক্কা তাই ওভাবে টের পায়নি বাংলাদেশ। ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৮২ বলে ১১৫ রানের জুটিতেই প্রথম তিন শ ছাড়ানোর আশা জাগে। 


৪ রানের মধ্যে সাকিব (৭৭) ও ইয়াসির (৫০) ফিরে গেলেও সে শক্ত ভিত্তিকে কাজে লাগাতে ভুল করেনি দল। মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ও মিরাজের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে শেষ ১০ ওভারে ৯১ রান তোলে বাংলাদেশ। আর তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম জয়ের ভিত পেয়েছেন সাকিবেরা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ : ৩১৪/৭ (তামিম ৪১, লিটন ৫০, সাকিব ৭৭, ইয়াসির ৫০ ; ইয়ানসেন ২/৫৭, মহারাজ ২/৫৬)


দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৮.৫ ওভারে ২৭৬ (ফন ডার ডুসেন ৮৬, মিলার ৭৯, বাভুমা ৩১ ; শরীফুল ২/৪৭, তাসকিন ৩/৩৬, মিরাজ ৪/৬১)


আরো পড়ুন:



 বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন
The colorful career of Justice Sahabuddin Ahmed


১৯৯০-এর সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর এরশাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের দাবি অনুসারে নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন বিচারপতি সাহাবদ্দীন আহমদ। স্বৈরাচার এরশাদের দীর্ঘ একনায়কতান্ত্রিক শাসনের নাগপাশ থেকে জাতিকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তার এ ভূমিকা ছিল দেশের ইতিহাসে মাইল ফলক। এই বিচক্ষণ নির্মোহ আইনজ্ঞের কর্মজীবন ছিল অত্যন্ত বর্ণাঢ্য।


সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান তিনি।

সাহাবুদ্দীন আহমদ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তালুকদার রেসাত আহমদ ভূঁইয়া ছিলেন একজন খ্যাতনামা সমাজসেবক ও জনহিতৈষী ব্যক্তি।


সাহাবুদ্দীন আহমদ তার কর্মজীবনে প্রথমে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ সালের জুন মাসে তাকে বিচার বিভাগে বদলি করা হয়। তিনি ঢাকা ও বরিশালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি তাকে বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারক পদে উন্নীত করা হয়।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

১৯৮০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সাহাবুদ্দীন আহমদকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করা হয়। বিচারপতি হিসেবে তার প্রদত্ত বহুসংখ্যক রায় প্রশংসিত। বাংলাদেশ সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর ওপর তার প্রদত্ত রায় দেশের শাসনতান্ত্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে এক অনন্য ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত। এ রায়ে তিনি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে নিজস্ব ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা, গোষ্ঠী শাসন প্রতিষ্ঠা, মৌলিক মানবাধিকার খর্ব করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জনগণের সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অস্বীকৃতি এবং আইনের শাসনের পরিবর্তে আদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান রহিত করার প্রবণতার জন্য তৃতীয় বিশ্বের একনায়ক শাসকদের সমালোচনা করেন। বিচার বিভাগে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও ছুটির ক্ষেত্রে হাইকোর্টের চিরাচরিত ক্ষমতা খর্ব করা এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক নিম্ন আদালতগুলো নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।


১৯৮৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তৎকালীন সরকার তার সেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ১৯৭৮ সালের আগস্ট থেকে ১৯৮২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

১৯৯০ সালের ১৪ জানুয়ারি তাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ পদত্যাগ করেন এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে উপরাষ্ট্রপতি নিয়োগ করা হয়। ওই দিনই রাষ্ট্রপতি এরশাদ পদত্যাগ করে উপরাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর ফলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন এবং নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করেন। ওই সময় সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বেশ কিছু আইন সংশোধন করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন।

সাহাবুদ্দীন আহমদের চাহিদা অনুসারে দেশের সংবিধানের এগারোতম সংশোধনীটি আনা হয়। এর ফলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের পরও তিনি ১৯৯১ সালের ১০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে সুপ্রিম কোর্টে ফিরে যান এবং ১৯৯৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।


সাহাবুদ্দীন আহমদ আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন ১৯৯৬ সালে। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ওই বছর ক্ষমতায় এসে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। ১৯৯৬ সালের ৯ অক্টোবর তিনি নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।


আরো পড়ুন:

 দুই ঘণ্টার বৈঠকে চীনকে বাইডেনের নতুন বার্তা
Biden's new message to China during the two-hour meeting


২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানোর পর এই প্রথম বিশ্বের দুই পরাশক্তি দেশের প্রধান ভিডিওকলে মুখোমুখি কথা বলেছেন। 


শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। 


বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে হোয়াইট হাউসের একটি বিবৃতি তুলে ধরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নৃশংস হামলা চালানোর জন্য চীন যদি রাশিয়াকে বস্তুগত সহায়তা দেয় তাহলে এর প্রভাব ও পরিণতি খারাপ হবে বলে শি জিন পিংকে সতর্ক করেছেন জো বাইডেন। অর্থাৎ রাশিয়ার হত্যাযজ্ঞ বাড়বে, আর এতে চীনের ইমেজও নষ্ট হবে। তিনি এই সঙ্কটের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য তার সমর্থনকে জোর দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৯টা ৩ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে টেলিফোন করেন বাইডেন। ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট ধরে চলে তাদের ভিডিও কল। সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে এই দুই নেতা কথা শেষ করেন বলে হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র জানিয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।


চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ভিডিও কথোপকথনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। 


রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে জিনপিং বলেছেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক সামরিক সংঘাতের পর্যায়ে যেতে পারে না। দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মাধ্যমে কারও স্বার্থ হাসিল হয় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি ও নিরাপত্তা সর্বাধিক কাঙ্ক্ষিত বিষয়।


আরো পড়ুন:




 স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সমাবেশ
Volunteer League workers rally


কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে মঙ্গলকোট আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অাব্দুল গফুর গফফারের সভাপতিত্বে এবং মঙ্গলকোট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ অাসাদুজ্জামান অাসাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুর রহমান সরদার।


বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ নূর আল আহসান বাচ্চু, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আজিজুর রহমান, কেশবপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মাসুদ রানা জয়, মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল হোসেন বিশ্বাস, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোক্তার আলী মোড়ল প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, কামরুজ্জামান মিন্টু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমানসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

সমাবেশে ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন গোলদার (বুলবুল) ও সাধারণ সম্পাদক লিটন হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শহীদ মোড়ল  ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বজলুর রহমান গাজী ও  আতিয়ার রহমান সরদারকে সম্পাদক করে প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ৪১ সদস্য বিশিষ্ঠ মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন করা হয়। 


আরো পড়ুন:

 ফেনীতে ৪কেজি গাঁজা ও ২'শ পিস ইয়াবা টেবলেট সহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
Two drug dealers arrested in Feni with 4 kg of cannabis and 200 pieces of yaba tablets


ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পৃথক ২টি  অভিযানে মো: হেলাল মিয়া(৩৫) ও শ্রীকান্ত চন্দ্র দাস(২৪) নামে দুই মহান কারবারিকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৪ কেজি গাঁজা ও ২০০ পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।


গ্রেফতারকৃত মো: হেলাল মিয়া কুমিল্লা বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দ্রাবাদ পশ্চিম পাড়া (নায়েব আলী ভূইয়া বাড়ী) আবুল কাশেম ছেলে ও শ্রীকান্ত চন্দ্র দাস ফেনীর চেউরিয়া'র নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে।


পুলিশ সূত্র জানা গেছে ফেনীর ফতেহপুর স্টার লাইন ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন ইমাম মার্কেটের সামনে সামনে অভিযান চালিয়ে হেলাল মিয়াকে ৪কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার করে।


এছাও ফেনী সদরের সালাউদ্দিন মোড় অভিযান চালিয়ে শ্রীকান্ত চন্দ্র দাসকে ২০০ পিস ইয়াবা টেবলেট সহ গ্রেফতার করা হয়। 

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এসআই মোঃ কুতুবউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, এএসআই- এবিএম আশিকুর রহমান, মোঃ ইমাম উদ্দিন রাজু ও সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় পৃথক ২টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪কেজি গাঁজা ও ২০০ পিস ইয়াবা টেবলেট সহ  দুইজনকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে ফেনী  মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে এই সংক্রান্তে ফেনী সদর মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়।


আরো পড়ুন:

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget